Nandigram: ফের নেত্রীকে ‘দুকান কাটা’ বলে কুণালদের ‘চাকর’ বললেন শুভেন্দু

0
208

নন্দীগ্রাম: ১৪ বছরের ব্যবধানে নন্দীগ্রাম দেখল শহিদের দুটি মঞ্চ৷ ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে আয়োজিত গোকুলনগরের সভা মঞ্চ থেকে কুণাল ঘোষ, জয়া দত্তরা একযোগে আক্রমণ শানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারীকে৷ দুপুরে করপল্লীতে শহিদ বেদীতে গঙ্গা জল ছিটিয়ে পাল্টা আক্রমণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷

বললেন, ‘‘গঙ্গাজল সামান্য ছিল, কিছুটা পরিষ্কার করেছি। বাকিটা সন্ধ্যায় করপল্লীর মায়েরা গোবর দিয়ে পরিষ্কার করে দিব!’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, এদিন শহীদ স্মরণে সকালে অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূলের কুণাল ঘোষ, জয়া দত্তরা৷ নাম না করে তাঁদের উদ্দেশ্যে শুভেন্দু বলেন, ‘‘ কিছু চাকর পাঠিয়েছিলেন পিসি ও ভাইপো। আর কিছু জেহাদি দিয়ে কুৎসা কুৎসা।’’

- Advertisement -

কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘‘আন্দোলন নিয়ে একটা কথাও বলেননি৷ শহীদদের নাম বলেননি। ভগবান এদেরকে ক্ষমা করো। সকাল থেকে উঠে পা চাটে।’’ আক্রমণ শানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকেও, ‘‘চটি চাটা মিডিয়াও নিয়ে এসেছিল। ফেসবুকে এদের দেখলে শুধু গালাগাল আর গালাগাল।’’

এরপরই তৃণমূল নেত্রীকে ‘দু কানকাটা’ সম্বোধন করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘ এদের নেত্রী দুকান কাটা। তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেন্দুর কাছে হারতে হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী লেভেল বুঝে তার উত্তর দেবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিছু বললে সাথে সাথে উত্তর দেব। ওরা কিছু করতে পারবে না, শিকড় প্রচড ভিতরে রয়েছে।’’

এদিন নন্দীগ্রামের তেখালি পেট্রলপাম্প থেকে করপল্লী পর্যন্ত একটি মিছিল করে বিজেপিষ নেতৃত্বে ছিলেন শুভেন্দু৷ এরপর করপল্লীতে শহীদ বেদীতে গঙ্গা জল দিয়ে শুদ্ধ করে মাল্যদান করেন তারা। শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খেজুরি বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামানিক, তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি নবারুণ নায়েক, সহ সভাপতি প্রলয় পাল সহ অন্যান্যরা।

আরও পড়ুন: Nandigram: দু’সেকেণ্ড সময় লাগবে নন্দীগ্রামকে বিরোধী শূন্য করতে, Suvendu কে হুঁশিয়ারি জয়ার