Last Journey of Subrata Mukherjee: রাজপথ দেখল মানুষের আবেগ, শেষ যাত্রাতেও তিনি থাকলেন অনন্যই

গান স্যালুটের মাধ্যমে কেওড়াতলা শশ্মানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়

0
59

কলকাতা: ১৯৪৬-২০২১৷ শেষ হল একটা যুগের৷
যতদূর চোখ যায়, শুধুই কালো মাথার ভিড়৷ কে নেই সেই তালিকায়? ১৯ থেকে ৬৯৷ সকলেরই ‘সুব্রতদা’! বঙ্গ রাজনীতির অন্যতম বর্ণময় চরিত্র সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের শেষ যাত্রায় অনুগামীদের আবেগের সাক্ষী থাকল কলকাতার রাজপথ৷

- Advertisement -

বাংলার রাজনীতিতে উল্কার গতিতে উত্থান ঘটা এরাজ্যের সর্ব কনিষ্ঠ মন্ত্রীমশাই শেষ যাত্রাতেও থাকলেন অনন্যই৷ রবীন্দ্র সদন, বিধানসভা, একডালিয়ায় নিজের বাসভবন শবযাত্রা যত এগিয়েছে ততই দৈর্ঘ্য প্রস্থে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েছে মানুষের মিছিল৷ লোকে লোকারণ্যে৷ অভিনেত্রী মুনমুন সেন থেকে রাজ্যপাল, ডান, বাম সমস্ত দলের নেতা, সকলেই শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলেন তাঁকে৷

সিদ্ধার্থ রায়ের জমানায় মন্ত্রিসভায় হাতেখড়ি৷ ২০০০ থেকে ২০০৫ সাল অবধি কলকাতার মেয়র এবং পালা বদলের বাংলায় ২০১১ থেকে ফের রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন৷ বর্ণময় এই রাজনীতিকের মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই বাংলার রাজনৈতিক আকাশে নেমে এসেছে শোকের ছায়া৷

তবে দুঃসংবাদ শোনার পর এসএসকেএমে দাঁড়িয়েই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছিলেন, ‘‘জীবনে অনেক লড়াই, অনেক ঝড়ঝাপ্টা সয়েছি। কিন্তু, কালীপুজোর দিন এমন অন্ধকার নেমে আসবে ভাবিনি। সুব্রতদা’র মরদেহ আমি দেখতে পারব না।”

শুধু শেষ যাত্রা নয়, কেওড়াতলা মহাশ্মশানেও যাননি তৃণমূল নেত্রী। তবে শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গান স্যালুটের মাধ্যমে কেওড়াতলা শশ্মানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়৷

আরও পড়ুন: Subrata Mukherjee: দাদাকে আর ভাইফোঁটা দেওয়া হল না, কান্নায় ভেঙে পড়লেন বোন