Durgapujo 2021: বেলুড় থেকে জয়রামবাটি, বিধি মেনে হল কুমারী পুজো

0
63
Rituals of Durga Puja

হাওড়া ও বাঁকুড়া: একদিকে ভাইরাসের চোখ রাঙানি৷ অন্যদিকে ঐতিহ্য রক্ষার তাগিদ৷ দু’দিক খেয়াল রেখেই যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করে অনুষ্ঠিত হল কুমারী পুজো৷ হাওড়ার বেলুড় মঠ থেকে শুরু করে জয়রামবাটি মাতৃমন্দির- সর্বত্রই প্রথা মেনে এদিন সকালে কুমারী পুজো করা হয়৷ বেলুড়ে এবারে পুজোয় কুমারী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছিল ৫ বছর ১০ মাসের হন শরণ্যা চক্রবর্তীকে৷ অন্যদিকে জয়রামবাটিতে নির্বাচিত করা হয়েছিল একই বয়সের আরুশা মুখোপাধ্যায়কে৷

আরও পড়ুন: Durgapujo2021: রবি ঠাকুরের অমলকে দেখতে চান, চলে আসুন এই পুজো মণ্ডপে

- Advertisement -

করোনা আবহের মধ্যেও যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন, সামাজিক দূরত্ব বজায়, সরকারি নিষেধাজ্ঞা, সর্বোপরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রাচীন ঐতিহ্য আর পরম্পরা রক্ষায় তিথি মেনে কুমারী পুজো অনুষ্ঠিত হল জয়রামবাটি মাতৃমন্দিরে৷ সারদা মায়ের জন্মস্থান বাঁকুড়ার পূণ্যভূমি জয়রামবাটিতে ৫.৩০ মিনিটে অষ্টমীর পুজো শুরু হয়। এরপর ঠিক সকাল ৯ টায় শুরু হয় কুমারী পুজো। এবার জয়রামবাটি মাতৃমন্দিরে কুমারী রুপে পূজিতা হয় ৫ বছর ১০ মাসের আরুশা মুখোপাধ্যায়৷ প্রসঙ্গত, আরুশা হলেন মা সারদার সেজ ভাইয়ের নাতি শান্তিনাথ মুখোপাধ্যায়ের নাতনি।

আরও পড়ুন:  Pranab Mukherjee : না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন গ্রামের ছেলে, সেই চণ্ডীপাঠটা মিস করেন গ্রামবাসীরা

প্রথানুযায়ী প্রতি বছর জয়রামবাটির সারদা মায়ের পুরনো বাড়ি থেকে সিংহাসনে বসিয়ে বাদ্য যন্ত্র সহযোগে শোভাযাত্রা সহকারে মঠের সন্যাসীরা কুমারীকে নিয়ে মাতৃ মন্দিরের মণ্ডপে আসেন। সেখানেই বৈদিক মন্ত্রোচারণের মধ্য দিয়ে চলে কুমারী পুজা। জয়রামবাটি মাতৃমন্দিরে ফি বছর পুজোর চার দিন অসংখ্য মানুষ হাজির হন। কুমারী পুজো উপলক্ষ্যে অষ্টমীর সকালে সেই সংখ্যা আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এবার সেই সুযোগ নেই। কিন্তু চলতি করোনা পরিস্থিতির কারণে সমারোহ ও মণ্ডপ ছাড়াই নাট মন্দিরে পুজো হচ্ছে। দর্শনার্থীদের প্রবেশের উপরেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এদিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরো এলাকা জুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

অন্যদিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় কুমারী পুজো সম্পন্ন হয় বেলুড় মঠেও। এদিন বুধবার অষ্টমীর সকালে প্রথমে অষ্টমী বিহিত পুজো অনুষ্ঠিত হয়। এরপর হয় কুমারী পূজা। তবে এবার কোভিড পরিস্থিতিতে বেলুড় মঠের কুমারী পুজোয় সাধারণ ভক্ত দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার ছিল না। রামকৃষ্ণদেবের মন্দিরের পশ্চিম চাতালে এবার কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়। করোনা অতিমারীর কারণে এবার পুজো এবং আনুষঙ্গিক ব্যবস্থায় বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়। এদিন উপস্থিত ছিলেন মঠের সংঘাধ্যক্ষ মহারাজ সহ বরিষ্ঠ সন্ন্যাসীরা।