রাতের অন্ধকারে মুখোশ পড়ে শিক্ষিকার ওপর হামলা, আতঙ্কিত পরিবার

0
66

হাবরা: রাতের অন্ধকারে মুখোশ পড়ে ঘরে ঢুকে শিক্ষিকার ওপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা চালাল দুষ্কৃতী। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল গোটা এলাকায়। পাশাপাশি এই ঘটনায় আতঙ্কে ভুগছেন শিক্ষিকার পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে হাবরা থানার রাউতারা বিশ্বাস পাড়া এলাকায়।

আরও পড়ুন-ফের প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা, পুজোর আগে ভাসতে পারে বাংলা, জানাল হাওয়া অফিস

- Advertisement -

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ১০.৩০ নাগাদ খাওয়া-দাওয়া সেরে তারা বসেছিলেন। সেই সময় পাঁচিল টপকে এক যুবক কালো ড্রেস এবং মুখে মুখোশ পড়া অবস্থায় হাতে তলোয়ার নিয়ে ঘরে ঢুকে শিক্ষিকা নাজমুন নাহার (৪২) দিকে তলোয়ার ঠেকায়। প্রথমে পরিবারের লোকজন সেভাবে বুঝে উঠতে পারেনি। তবে পরবর্তীতে তারা চিৎকার চেচামেচি করলে তরোয়ালের আঘাতে শিক্ষিকার দুই হাতে আঘাত করে ওই দুষ্কৃতী।

ওই দুষ্কৃতীর হামলায় শিক্ষিকার দুটি হাতের কবজির কাছে গভীর ক্ষত হয়েছে। পাশাপাশি ওই শিক্ষিকার দুটি আঙুল কেটে পরে যায়। যদিও রাউতারা হাইস্কুলে প্যারা টিচার হিসেবে তিনি চাকরি করতেন। তবে কারোর সঙ্গে সেরকম কোন শত্রুতা নেই এমনটাই জানিয়েছে পরিবার তবে কি কারণে এই হামলা তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।

আরও পড়ুন-দিদি কি পারবেন নিজের রেকর্ড ভাঙতে, চায়ের কাপে উঠছে তুফান

ওই হামলার পরেই শনিবার রাতেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় মহিলাকে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে রেফার করে দেওয়া হয়। এখন কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন ওই শিক্ষিকা। এই ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় হাবরা থানার পুলিশ। একইসঙ্গে পরিবারের বয়ান অনুসারে স্থানীয় এক যুবককে ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে আটক করেছে হাবড়া থানার পুলিশ।

রবিবার সকালে এ ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তবে কি কারণে এই হামলা তা নিয়ে দ্বন্দ্বে পরিবার এবং স্থানীয় লোকজন। এদিন ওই আটক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ধৃতের নাম খুরশিদ আলম মণ্ডল(১৮)। ধৃতের বাড়ি রাউতাড়া বিশ্বাস পাড়া এলাকায়। ভোররাতে ওই এলাকা থেকে গ্রেফতার করে হাবড়া থানার পুলিশ। আজই ধৃতকে পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়ে বারাসত আদালতে তোলা হচ্ছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাবরা থানার পুলিশ।