‘বয়স পেরোলে এমনিই যুব মোর্চা ছাড়তে হয়’, টানাপোড়েনের মাঝেই অকপট সৌমিত্র

0
119

বাঁকুড়া: সম্প্রতি যুব মোর্চার সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। ইস্তফা দেওয়ার পাশাপাশি সেদিন ফেসবুক লাইভে এসে আক্রমণ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে নিয়েও। এরপর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল তাঁকে যুব মোর্চার সভাপতিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে। এপ্রসঙ্গে এবার নিজেই মুখ খুললেন সৌমিত্র। তিনি বললেন, ‘বয়স পেরিয়ে গেলে এমনিতেই যুব মোর্চার পদ ছেড়ে দিতে হয়, এটা নতুন কিছু নয়। আমি কি সারা জীবন যুব মোর্চা করবো নাকি?’

আরও পড়ুন, ‘সুপারওম্যান’ হারলিনের ক্যাচে মুগ্ধ প্রধানমন্ত্রীও, বিশেষ পোস্ট দিয়ে করলেন প্রশংসা

- Advertisement -

রবিবার বিষ্ণুপুরের একটি বেসরকারি লজে সাংগঠনিক সভার আয়োজন করেছিল গেরুয়া শিবির। সেই সভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। তখনই এরূপ মন্তব্য করেন। এরপরে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাঁর সমীকরণ নিয়ে প্রশ্ন শুনে সৌমিত্রের কৌশলী উত্তর, ‘কোন রাগ নেই। তবে রাজনীতিতে রাগ-অভিমান থাকেই, আবার রাজনীতি-কূটনীতিও চলে’।

তবে, বাস্তবে সৌমিত্র যতই মান-অভিমানের কথা বলুন না কেন, প্রকাশ্যে দলের শীর্ষস্তরের নেতাকে খোলাখুলি আক্রমণ একেবারেই মেনে নিতে পারেনি গেরুয়া শিবির। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘এক গাছের ছাল অন্য গাছে লাগানো রয়েছে।’ এরপরেই সৌমিত্র খাঁ উত্তরে বলেন, ‘দুধ জলে মিশে গেলে কি জলটাকে আলাদা করা যায়?’

আরও পড়ুন, আমার নাম অ্যাঞ্জেল, আমিও পারি, তোমরা আমায় দেখো
তবে, এত বিতর্কের মাঝেও এলাকায় জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি। যেভাবে তিনি আসার আগে স্টেশন চত্বরে ভিড় জমিয়েছিলেন কর্মী-সমর্থকরা, তাতে অন্তত তাই মনে হতে বাধ্য। তিনি আসার পরই স্টেশন থেকে বাইক মিছিল করে ‘সৌমিত্রদা জিন্দাবাদ’ আওয়াজ তুলে তাঁরা সভাস্থলে হাজির হন। এদিনের সভায় সৌমিত্র খাঁ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজিত অগস্থী সহ ওই এলাকার বিজেপির পাঁচ বিধায়ক এবং অন্যান্য নেতারা।