প্রত্যক্ষদর্শী নাকি বিজেপি সমর্থক, নন্দীগ্রাম ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে

0
353

খাস খবর ডেস্ক: প্রত্যক্ষদর্শী নাকি বিজেপি সমর্থক? এই ইস্যুতেই এখন ভাগ নেটিজেনরা। নন্দীগ্রামে ভোট প্রচারে চোট পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চোট গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় কলকাতায়।

আরও পড়ুন বাড়ছে সংক্রমণ, নাগপুরের পর দেশের অন্যান্য শহরেও হতে পারে লকডাউন

- Advertisement -

তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়েছিলেন তাকে ষড়যন্ত্র করে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছেন। অন্যদিকে বিজেপি শিবির থেকে জানানো হয়েছিল নাটক করছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাদের তরফে পোস্ট করা হয়েছিল এএনআই-এর ভিডিও। যেখানে দু’জন প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেন আদতে কিছুই হয়নি মুখ্যমন্ত্রীর।

এবার তাঁদের পরিচয় নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ার একাংশ। নেটিজেনদের একাংশের দাবি, সুমন মাইতি এবং চিত্তরণ দাস নামে ওই দুই ‘প্রত্যক্ষদর্শী’ আদতে বিজেপির সমর্থক। ফলে তাঁদের বয়ান নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তাঁরা।

সুমনের কথানুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রীকে ধাক্কা মারা হয়নি। তিনি জানিয়েছিলেন, কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন, পড়াশোনা করছেন। কিন্তু, সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে। যাতে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টির বিভিন্ন মিছিলে অংশ নিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন গুগলের শর্তে মাথায় হাত ভারতীয় ইউটিউবারদের

একইভাবে চিত্তরণ দাসও জানিয়েছিলেন, মমতা গাড়িতেই বসেছিলেন। কিন্তু দরজা খোলা ছিল। একটি পোস্টারে লেগে দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। মমতাকে কেউ ধাক্কা মারেনি। দরজার কাছে কেউ ছিলেন না। তাকেও দেখা গিয়েছে বিজেপির প্রার্থী শুভেন্দুর পাশে। অনেকে আবার তাঁর বাড়িতে বসে শুভেন্দুর খাওয়ার ছবিও পোস্ট করে ফেলেছেন।

আরও পড়ুন কয়লাকাণ্ডে অভিষেকের শ্যালিকার স্বামী ও শ্বশুরকে তলব করল সিবিআই

পরে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে একটি ভিডিও বার্তায় মুখ্যমন্ত্রীও বলেন, ‘‘সবাইকে বলছি আপনারা শান্ত হোন ও সংযত থাকুন৷ এমন কিছু করবেন না যাতে মানুষের অসুবিধা সৃষ্টি হয়৷’’ পায়ে ব্যথা নিয়ে মমতা বলেন, ‘‘এটা সত্যি আমার হাত, পা ও লিগামেন্টে চোট লেগেছে৷ বুকেও ব্যথা আছে৷ আমি মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিয়ম করছিলাম৷ গাড়ির দরজার ধাক্কায় পায়ে মারাত্মক চোট পাই৷’’