কলকাতা: রক্ষকই ভক্ষক৷ এই প্রচলিত কথাটাই সত্যি হল খোদ কলকাতায়৷ বড়বাজের এক ব্যবসায়ীকে লুঠ করার অভিযোগে গ্রেফতার ২ পুলিশ কর্মী সহ আরও তিন৷ উদ্ধার হয়ে প্রায় সাড়ে ৬ কেজি রূপার গয়না৷ যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা৷ বাজেয়াপ্ত করা হয়ে লুঠ করার সময় ব্যবহৃত একটি গাড়ি৷
এক ব্যবসায়ী রূপো ভর্তি ব্যাগ নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন৷ তখনই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে এগিয়ে এল স্বয়ং পুলিশ৷ যা হয় নির্জন জায়গায় পুলিশের উপস্থিতি সাধারণ মানুষের মনে স্বস্তি জাগিয়ে ছিল৷ তাই তিনি কিছু চিন্তা না করেই পুলিশের গাড়িতে উঠে গিয়েছিলেন৷ ব্যাস গাড়িতে ওঠাটাই তাঁর জীবনের সব থেকে বড় ভুল হয়ে দাঁড়াল৷ ব্যবসায়ীর সমস্ত রূপোর গয়না লুঠ করে অজানা এক রাস্তায় ওই ব্যবসায়ীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয় পুলিশরা৷
ঘটনার পর দিশেহারা হয়ে থানায় সাহায্যের জন্য দ্বারস্থ হন তিনি৷ বড়বাজারের ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ৷ খতিয়ে দেখা হয় এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ৷ একটি গাড়ি শনাক্ত করে পুলিশ৷ ওই গাড়ির সূত্র ধরে হাওড়ার এক সিটি পুলিশের কাছে পৌঁছায় পুলিশ৷ নারায়নপুর এলাকা থেকে হাওড়া সিটি পুলিশের দুই কনস্টেবলকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ ধৃতদের নাম সুরজিৎ সরকার ও সমীরণ পাত্র৷
তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ ওই তিন ব্যক্তির নাম সঞ্জয় কুমার শাহ, ফিরোজ মণ্ডল ও আবদুর সালাম শেখ৷ সঞ্জয় কুমার শাহের বাড়ি থেকে একটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ৷ উদ্ধার হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ কেজি রূপোর গয়না৷
খোদ পুলিশের এই ধরণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জনসাধারণের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ ঘটনার পর ওই ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘আমি রাতে বাড়ি ফেরার সময় সামনে একটি গাড়ি এসে দাঁড়ায়৷ আমায় বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলায় আমি ওই গাড়িতে উঠি৷ কিন্তু আমার থেকে সব রূপোর গয়না নিয়ে অচেনা রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে চলে যায়৷ পুলিশের এই ঘটনার পর তো আমাদের বিশ্বাসই উঠে গেল৷’’
