PIL: পদত্যাগকারী প্রার্থীর থেকে উপনির্বাচনের খরচ নেওয়া যায় না, হাইকোর্টে দাবি রাজ্যের

0
162
high-court

কলকাতা: ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের পর কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। তাঁর ভিত্তিতে রাজ্য ও নির্বাচন কমিশন আদালতে জানায়, পদত্যাগী প্রার্থীর কাছ থেকে উপনির্বাচনের খরচ নেওয়া যাবেনা।

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দিগ্রাম থেকে প্রার্থী হন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর গড় ভবানীপুরে প্রার্থী করা হয় শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়কে। শোভনদেব নির্বাচনের জিতলেও পরাজিত হন মমতা ব্যানার্জী। হেরে গিয়েও মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন তিনি। নিজের পদ ধরে রাখতে ৬ মাসের মধ্যে জয়ী হতে হত তাঁকে। এরজন্য তিনি ফের ভবানীপুরেই ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন।

- Advertisement -

মমতাকে প্রার্থী করতে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন শোভনদেব। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেই সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তিনি জানান, একজন জয়ী প্রার্থী তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র ছেড়ে দিয়েছেন অন্য একজন পরাজিত প্রার্থীর জন্য। যা আইনের অধীনে নেই। রাজ্যের এইধরনের প্রস্তাব সম্পূর্ণ অনুচিত।

এই মামলার শুনানি হয় হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রচুর অর্থ খরচ হয়। এই নিয়ে দুই বিচারপতির বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, সাংবিধানিক সংকট ছাড়া কিংবা সময়সীমা অতিক্রম হওয়ার আগে যদি পদত্যাগ হয় সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের নির্বাচনের যাবতীয় খরচ দেবে কে?

রাজ্যের আইনজীবী তথা অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতে জানান, প্রার্থীর থেকে নির্বাচনের খরচ নেওয়া যায়না। পদত্যাগ হলেও নির্বাচনী কেন্দ্রের খরচ রাজ্যকেই দিতে হবে। অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়, একজন পদত্যাগকারী প্রার্থীকে নির্বাচনের খরচ বহন করার নির্দেশ দেওয়ার এক্তিয়ার কমিশনের নেই। তাই কমিশন ও রাজ্য একই মতে সায় দিয়ে হাইকোর্টে দাবি করে, পদত্যাগকারী প্রার্থীর থেকে উপনির্বাচনের খরচ নেওয়া যায়না।