Adeno Virus নিয়ে নয়া দুশ্চিন্তা, বি সি রায় হাসপাতালে ৫-এরও বেশি শিশুর মৃত্যু

0
85
Adeno Virus

কলকাতা: করোনার দাপট কমেছে, এখন মুখে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতাও নেই। তবে তাতেও চিন্তা কমছে না চিকিৎসক মহলের। নয়া চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাস। তবে এবার এই ভাইরাসের কোপ পড়ছে শিশুদের ওপর। Institute of Child Health-এ শুক্রবার ৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আবার রবিবার সকালেই বিসি রায় শিশু হাসপাতালে আরও ১ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু এি শিশু Adeno Virus-এ আক্রান্ত কিনা তা এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।

আরও পড়ুন জমি বেচে ৭ লক্ষ টাকা জোগাড়, স্বামীর চাকরি যেতেই আত্মঘাতী Group-D কর্মীর শিক্ষিকা স্ত্রীর, দাবি

- Advertisement -

জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত Adeno Visrus এর আক্রমণে পাচের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আবার স্বাস্থ্য ভবনের কাছে হাসপাতালের পক্ষ থেকে আর্জি জানানো হয়েছে। এই হাসপাতালে রেফার করা রোগীর সংখ্যা কমানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সুমন পোদ্দার জানিয়েছেন, “এটা বহু পুরনো ভাইরাস। করোনার আগেও এই ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত হয়। গত দুপ্তাহ ধরে খুব বেড়েছে। এই ভাইরাসে সকলে আক্রান্ত হয় শিশুদের মধ্যে বেশি।”

আরও পড়ুন “ফের কি প্রাক্তনের কাছে ফিরে গেলেন”, Sara’কে নিয়ে মুখ খুললেন Kartik

সূত্রের মারফত জানা গিয়েছে, এদিন কলকাতার সরকারি হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য ভবনের অধিকর্তা। সেখানে হাসপাতালগুলিতে অ্যাডিনো ভাইরাসের আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা ও তাদের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই রোগ(Adeno Virus) করোনার মতোই সংক্রামক। অতএব মাস্ক পরা, দূরত্ববিধি মেনে চলা সহ বেশকিছু নিয়ম নিয়ে একটি বিশেষ নির্দেশিকা প্রকাশ করার প্রস্তাব দেন স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। সেই প্রস্তাব মেনেই এদিন জারি করা হয়েছেসরকারি নির্দেশিকা। সেখানে বাবা-মায়ের উদ্দেশ্যে ৫ পরামর্শের পাশাপাশি চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও অ্যাডিনো ভাইরাস মোকাবিলায় বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, শনিবারের নির্দেশিকাতে জানানো হয়েছে, তিনদিনের বেশি জ্বর, কাশি, নাক থেকে জল পড়া অথবা গলা খুশখুশ, জোরে-জোরে নিশ্বাস নিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জ্বর যদি তিন থেকে পাঁচ দিন হয়ে যাওয়ার পরও না কমে, শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়, বাড়িতে থাকাকালীন দেহে অক্সিজেনের মাত্রা ৯২ শতাংশের কম হয়, খাবার খাওয়ার পরিমাণ ৫০ শতাংশ কমে যায় তাহলে বুঝতে হবে আর দেরি না করে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। এছাড়াও দিনে পাঁচবারের কম প্রস্রাব হলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে রোগীকে।