ভাঙড়ে সংঘর্ষের ঘটনায় এবার Naushad Siddiqui-কে হেফাজতে চেয়ে আবেদন কলকাতা পুলিশের

0
46
Naushad Siddiqui

খাস ডেস্ক: জামিন মেলেনি আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির। আগামী আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি ফের আদালতে তোলা হবে নৌশাদ সিদ্দিকিকে। বর্তমানে জেলবন্দি নৌশাদ। এবার ভাঙড়ে সংঘর্ষের ঘটনায় এবার নৌশাদ সিদ্দিকিকে (Naushad Siddiqui) হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানাবে কলকাতা পুলিশ (Naushad Siddiqui’s custody)। আজ অর্থাৎ বুধবারই আইএসএফ বিধায়ক Naushad Siddiqui কে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে ব্যাঙ্কশাল আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে কলকাতা পুলিশ।

বিস্তারিত খবর, লাইভ ভিডিও সহ সমস্ত রকম আপডেট পেতে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: https://www.facebook.com/khaskhobor2020/

- Advertisement -

প্রসঙ্গত, এর আগে ভাঙড়ের হাতিশালায় ভাঙ্গচুর এবং মারধরের ঘটনায় কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানায় তার বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছিল। সেই কেসে প্রোডাকশন ওয়ারান্টের অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে। অপরদিকে, পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা লেদার কম্পলেক্স থানার পুলিশ হাতিশালায় মারামারি, দলীয় কার্যালয় ভাঙ্গচুর সহ তৃণমূল নেতা জুলফিকার মোল্লার উপরে আক্রমণের ঘটনায় বৃহস্পতিবার নওশাদকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে বারুইপুর আদালতের দ্বারস্থ হন। এদিনই প্রোডাকশন ওয়ারান্টের অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন-“কুন্তল আমাকে টাকা দেয়নি, আমি যদি টাকা নিয়ে থাকি তাহলে প্রমাণ দিক”

এদিকে, বিধানসভা ভোটের আগে চেন্নাইয়ের এক প্রবাসী বাঙালি ব্যবসায়ীর সঙ্গে আর্থিক লেনদেন নিয়ে কথা হয়েছিল নৌশাদ সিদ্দিকির। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি পেশ করেছিল কলকাতা পুলিশ। ওই ব্যবসায়ীর কাছে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে ইতিমধ্যেই চেন্নাইয়ে পৌঁছে গিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।

সারাদিনের সমস্ত খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন খাস খবর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=app.aartsspl.khaskhobor

উল্লেখ্য, আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে পতাকা লাগানোকে ঘিরে সংঘর্ষ বাঁধে। এর আগেও হাতিশালায় পতাকা লাগানোকে ঘিরে তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষ বেধেছিল। একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল-আইএসএফের। এই ঘটনায় আইএসএফের অভিযোগ, তাদের উপর হামলার চালিয়েছে তৃণমূল। পাল্টা আইএসএফ কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে শাসকদলের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই দুপক্ষের সংঘর্ষে ইটবৃষ্টি, বোমাবাজি, ও গুলি চলার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, দুইপক্ষের সংঘর্ষের জেরে তৃণমূলের অফিস পুড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল কর্মীরা। এরপরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। সংঘর্ষের ঘটনায় ইতিমধ্যেই আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।