Jadavpur University: অধ্যাপক নিয়োগে কেলেঙ্কারি, যাদবপুর কাণ্ডে চাঞ্চল্য শিক্ষামহলে

0
105

কলকাতা: ফের বিতর্কের মুখে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। অধ্যাপক নিয়োগকে কেন্দ্র করে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূল নেতা ওম প্রকাশ মিশ্রের বিরুদ্ধে। নিয়ম শৃঙ্খলা ভেঙে অযোগ্য প্রার্থীকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের তরফে একটি কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ Kolkata Municipal Election: আজই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারে তৃণমূল, একাধিক নতুন মুখের সম্ভাবনা

- Advertisement -

ঘটনার সূত্রপাত ২০২৯ সাল। অভিযোগ, যোগ্য প্রার্থীকে না ডেকে অ্যাপ্লিকেশন পারফরমেন্স ইনডেক্স বা এপিআই সূচকে পিছিয়ে থাকা আবেদনকারীকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল। ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের জন্য ৪ জন প্রার্থী আবেদন করেছিল তাদের মধ্যে ২ জনকে ইন্টারভিউয়ে ডাকা হয় এবং তারা দুজন বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিরত আর ২ জন বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পাননি এবং সেই অন্য দুজনের মধ্যে একজন এই অভিযোগ আনেন।

আরও পড়ুনঃ Kolkata Municipal Election : কলকাতা পুরভোটে আজ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে বামেরা, তালিকায় থাকছে একাধিক নতুন মুখ

অভিযোগ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যাপক নিয়োগের সময় নিয়ম বহির্ভূত কাজ করা হয়েছে বলে তৎকালীন বিভাগীয় প্রধান ওমপ্রকাশ মিশ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ। যোগ্য প্রার্থীদের ইন্টারভিউতে না ডেকে এপিআই সূচকে পিছিয়ে থাকা প্রার্থী ডাক পেয়েছেন বলে অভিযোগ অধ্যাপকদের। এমনকি পিএইচডি ডিগ্রি না থাকা ব্যক্তিও এই পদে ইন্টারভিউয়ে ডাক পান। মূলত স্বজনপোষণ ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে জুটা। আরও অভিযোগ, নিয়োগের সময় যে বিশেষজ্ঞ প্যানেল তৈরি হয়েছিল, তাতে মহিলা এক্সপার্ট ছিলেন না, যা ইউজিসির নিয়মের বিরোধী।

ওমপ্রকাশ মিশ্র জানিয়েছেন, ‘বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দিয়েছিলেন, বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তা অবিলম্বে শেষ করতে হবে। ৮ সপ্তাহ পরও সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করেনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই এই নিয়ে পাল্টা মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থ প্রতিম রায় বলেন, ওম প্রকাশ মিশ্র যে মামলার কথা বলছেন, সেখানে বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেছিলেন মামলাটির সারবত্তা ছিল। সুতরাং এ থেকেই বোঝা যায় যে অভিযোগ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও জানান, পিএইচডি ডিগ্রি নেই এমন একজনকে নিজেই লিখে সার্টিফিকেট দেন ওম প্রকাশ মিশ্র। আবার নিজেই তাঁকে ইন্টারভিউতে ডাকেন। এপিআই তে পিছিয়ে থাকা প্রার্থীকে ডাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিরোধী বলেও মন্তব্য করেন তিনি।