নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা: ফের অফিস পাড়ায় ভুয়ো কল সেন্টারের পর্দাফাঁস পুলিশের৷ গ্রেফতার (Arrest) ১০ মহিলা সহ ১৬ জন৷ উদ্ধার হয় একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল সহ নথি৷ অভিযুক্তদের আজ অর্থাৎ শুক্রবার বিধাননগর আদালতে তোলা হয়৷ ঘটনার তদন্তে নেমেছে বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ৷
সূত্রের খবর, ব্যাঙ্কে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা করা হত এই কলসেন্টার থেকে৷ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সল্টলেক সেক্টর ফাইভে ভুয়ো কল সেন্টারে হানা দেয় বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। উদ্ধার করে একাধিক ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট।
পুলিশ সূত্রে খবর, সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের এসডিএফ বিল্ডিংয়ের ২১৫ নম্বর ঘরে ইভান অ্যাচিভার্স প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি ভুয়ো কল সেন্টার চালু করেছিল এই প্রতারণা চক্র। সেখান থেকে ওয়ার্ক ইন্ডিয়া নামের একটি অ্যাপের মাধ্যমে চাকরির বিজ্ঞাপন দিত এই চক্র। ব্যাঙ্কের ব্যাক অফিসে চাকরি দেওয়ার বিজ্ঞাপন দিত এই সংস্থা৷
সূত্রের খবর, এই অ্যাপের মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যারা চাকরির জন্যে প্রোফাইল তৈরি করত তাদের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ফোন করত প্রতারকরা। সেখানে তাদের রেজিস্ট্রেশন বাবদ কিছু টাকা জমা করতে বলা হতো। রেজিস্ট্রেশন করার পরই চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউয়ের জন্যে ডাকা হত। তবে পরবর্তীতে তাদের কাছ থেকে আরও টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করত এই চক্র৷ এমনটাই পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে৷
এরপর খবর পেয়ে সল্টলেকে সেক্টর ফাইভে এস ডি এফ বিল্ডিংয়ের ওই ভুয়ো কল সেন্টারে হানা দেয় বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। সেখান থেকে ১০জন মহিলা সহ মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে এই ইভান অ্যাচিভার্স প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থার কর্ণধার হাসিবুর রহমানকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।
তাদের কাছ থেকে একধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন সহ নথি উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার অভিযুক্তদের বিধাননগর আদালতে তোলা হয়। পুলিশ অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়৷ এই প্রতারণা চক্রটি তাদের জাল কত দূর পর্যন্ত বিস্তার করেছিল এবং এই চক্রের সঙ্গে অন্য কাদের যোগ রয়েছে সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ।
