বাজার করতে গিয়ে হার্টবিট বেড়ে গিয়েছিল বলিউডের ‘ধক ধক গার্ল’-র

0
74

মুম্বই: জীবনের অনেক গুলি বসন্ত পার করে তিনি আজও বহু পুরুষ মনের ‘ড্রিম গার্ল’। শনিবার ৫৪-এ পা রাখলেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত। পঞ্চাশের কোঠা পেরিয়েও তাঁর সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হন না এমন দর্শক বিরল।

আটের দশকের শেষভাগ থেকে নয়ের দশকের শেষ দিক পর্যন্ত বলিউড কাঁপানো এই সুন্দরীর নাচ থেকে অভিনয় মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছিল। বাদ যায়নি তাঁর ওই দুই চোখের চাহনি এমনকি সুমিষ্ট হাসিও। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে অসংখ্য সুপারহিট সিনেমা।

- Advertisement -

এর মধ্যে ‘রাম লক্ষণ’,’তেজাব’,’হাম আপকে হ্যায় কৌন’,’কোয়লা’,’দিল তো পাগল হ্যায়’,’খলনায়ক’ একপ্রকার আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। খ্যাতি ও সাফল্যের শিখরে পৌঁছেও তিনি আজও মাটির মানুষ। তবে এই নায়িকার সঙ্গে বি টাউনের কোনও হিরোর বিয়ে হবে এমনটাই ধারণা ছিল বহু মানুষের। কিন্তু ঘটেছিল সম্পূর্ণ উলটো।

শুধুই বলিউড ইন্ডাস্ট্রির বাইরে নয় বরং বিয়ে করে একেবারে আমেরিকায় পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। ১৯৯৯ সালে মার্কিন নাগরিক ও প্রবাসী ভারতীয় ড. শ্রীরাম নেনে-র সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন বলিউডের ‘ধক ধক গার্ল’। হটাৎ করে মাধুরীর এই পদক্ষেপে একদম হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন তাঁর অনুরাগী থেকে শুরু করে সহকর্মীরাও।

তবে কেমন ছিল ভারতীয় পরিবেশ ছেড়ে আমেরিকার পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া? কেমনই বা ছিল ভারতের অন্যতম সেরা বলি-তারকা থেকে গৃহবধূর ভূমিকা? এক সাক্ষাৎকারে এমনই সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন মাধুরী।

তিনি বলেছিলেন, ”ভারতে বাড়ির যেকোনও কাজ করার জন্য সাধারণত কাজের লোকের ওপরেই নির্ভরশীল থাকতে হত। কিন্তু আমেরিকায় ওসবের বালাই ছিল না। ওখানের বিষয় একেবারে আলাদা। সেখানে রান্না করা থেকে শুরু করে বাজার করা, ঘর পরিষ্কার করা সংসারের সমস্ত কাজ নিজেকেই করতে হত”।

এরপর সকলের সঙ্গে নিজের একটি মজার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। বলেছিলেন, ”বিয়ের পর আমেরিকার প্রথমবার মুদিখানার জিনিসপত্র আনতে গিয়ে হৃদস্পন্দন রীতিমতো বেড়ে গিয়েছিল আমার। তারকা হওয়ার পর এসব কাজ আর আমার করা হত না। তবে বহুবছর বাদে সেটি ছিল আমার নিজের হাতে বাজার করার প্রথম অভিজ্ঞতা”। মাধুরী আরও জানান, তা সত্ত্বেও ব্যাপারটি আমার দারুণ লেগেছিল। খুবই উপভোগ করেছিলাম। কিরকম যেন একটা স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিলাম।