‘ছেলেটা ভয়ে কাটা ছাগলের মতো কাঁপছিল’ একান্ত সাক্ষাৎকারে বললেন কাঞ্চনের স্ত্রী পিঙ্কি

শনিবারের কথা উঠলে এখনও ভয়ে শিউড়ে উঠছেন পিঙ্কি৷ সোমবার ‘খাসখবর’কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে (EXCLUSIVE) বিশিষ্ট অভিনেত্রী তথা কাঞ্চন মল্লিকের স্ত্রী পিঙ্কি চট্টোপাধ্যায় বললেন, ‘‘আমি কোনও পরকীয়া নিয়ে এফআইআর করিনি৷ ওরা (কাঞ্চন ও শ্রীময়ী) শনিবার যেভাবে আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নিগ্রহ করছিল তাতে ছেলেটা ভয়ে কাটা ছাগলের মতো কাঁপছিল৷ ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেই এফআইআর৷’’

0
119

খাস বিনোদন ডেস্ক, কলকাতা: শনিবারের কথা উঠলে এখনও ভয়ে শিউড়ে উঠছেন পিঙ্কি৷ সোমবার ‘খাসখবর’কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে (EXCLUSIVE) বিশিষ্ট অভিনেত্রী তথা কাঞ্চন মল্লিকের স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘‘আমি কোনও পরকীয়া নিয়ে এফআইআর করিনি৷ ওরা (কাঞ্চন ও শ্রীময়ী) শনিবার যেভাবে আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নিগ্রহ করছিল তাতে ছেলেটা ভয়ে কাটা ছাগলের মতো কাঁপছিল৷ ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেই এফআইআর৷’’

আরও পড়ুন: আলাপন ইস্যুতে আরও কঠোর কেন্দ্র

- Advertisement -

খানিক থেমে তাঁর সংযোজন, ‘‘গত ৩ মাসে ছেলে কেমন আছে, বাবা হিসেবে কাঞ্চন একবারও ফোন করে খোঁজ নেয়নি৷ সেই লোকটা এই অ্যাফেয়ারের গল্প সামনে আসার পর ১৫ সেকেণ্ড অন্তর ফোন করছে, ভয়েস ম্যাসেজ পাঠিয়ে বলছে- আজই কথা বলতে হবে৷ ওদের অত্যাচারে আমি অতিষ্ঠ৷’’ প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘আমি যদি ২২দিন সংসার করে থাকি, তাহলে ছেলেটা হল কি করে!’’

আরও পড়ুন: ‘ঘরে’ ফিরেই ঘর ভাঙানোর ‘খেলা’য় নামলেন মুকুল

পতি পত্নীর কলহ চৌকাঠের সীমানা পেরিয়ে গুটি গুটি পায়ে হাজির হয়েছে থানায়৷ জুড়েছে পরকীয়ার মতো রসালো প্রসঙ্গ৷ স্বাভাবিকভাবেই, সোশ্যাল সাইট জুড়ে বইছে নিন্দার ঝড়৷ শনিবার রাতে নিউ আলিপুর থানায় কাঞ্চন এবং তাঁর বান্ধবী শ্রীময়ী চট্টরাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন পিঙ্কি৷ পাল্টা হিসেবে সোমবার পিঙ্কির বিরুদ্ধে চেতলা থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন কাঞ্চন৷ সোমবার সকালে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিঙ্কির বিরুদ্ধে ‘স্ত্রী হিসেবে ঘর না করার’ গুরুতর অভিযোগ এনেছেন তিনি৷ দাবি করেছেন, ‘‘শিল্পী কাঞ্চন বিধায়ক হতেই পিঙ্কির চোখে সমস্যা ধরা পড়তে শুরু করেছে৷’’ উস্কে দিয়েছেন, ‘‘রাজনৈতিক চক্রান্তের জল্পনা৷’’

আরও পড়ুন: গ্রেফতার রাজীব ‘ঘনিষ্ঠ’ হাওড়ার বিজেপি নেতা

তারই জবাব দিতে গিয়ে বিয়ের পরবর্তী প্রসঙ্গ টেনে এনে পিঙ্কি বলেছেন, ‘‘যদি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই কিছু বলার থাকতো, তাহলে ভোটের সময় প্রচারে গিয়ে বলতে পারতাম৷’’ অতীত স্মৃতি তুলে ধরেছেন, ‘‘আমার শ্বশুর-শাশুড়ি দু’জনেই অসুস্থ ছিলেন৷ তাঁদের ঘাড়ে একটা বাচ্চার দায়িত্বে দিয়ে আমি ডিউটিতে আসি কি করে? আমাদের তো কোনও ফেরার সময় থাকে না৷ ফলে ছেলেকে একটা নিরাপদ জায়গায় রেখে কাজে যেতে হবে৷ একজন কর্মরতা মা হিসেবে এটা আমার দায়িত্বের মধ্যে পরে৷ তখন আমরা দু’জনে বসেই ঠিক করি, আমি চেতলা থেকে যাতায়াত করব৷’’

অভিযোগ করেছেন, ‘‘কাঞ্চন প্রসঙ্গ ঘোরানোর চেষ্টা করছেন৷’’ দাবি করেছেন, ‘‘ওদের (কাঞ্চন-শ্রীময়ী) অ্যাফেয়ার সামনে আসার পরই আমার ওপর প্রেসারক্রিয়েট করা হচ্ছিল৷ অথচ আমি ওদের এই সম্পর্কের বিষয়ে কাউকে কিছু বলিনি৷ এতদিন সব মুখ বুঝে সহ্য করে যাচ্ছিলাম৷ কিন্তু যেভাবে শনিবার আমাকে রাস্তায় গাড়ি থেকে নামিয়ে ওরা শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করল তারপর বাধ্য হয়েছি এফআইআর করতে৷’’ খানিক থেমে যোগ করেছেন, ‘‘ছেলে কেমন আছে, ওঁর অনলাইন পরীক্ষা কবে থেকে – বাবা হিসেবে এসব খোঁজ নেওয়ার দায়িত্বও মনে করে না কাঞ্চন৷ অথচ যেভাবে সেদিন রাতে ওরা (কাঞ্চন-শ্রীময়ী) নিগ্রহ শুরু করেছিল তাতে ছেলেটা ভয়ে কাটা ছাগলের মতো কাঁপছিল৷ তারপর আর চুপ থাকতে পারিনি৷ বাধ্য হয়েছি এফআইআর করতে৷’’

শোভন-বৈশাখী-রত্না, সৌমিত্র-সুজাতা, নুসরত-যশ-নিখিল, এর পর এবার প্রকাশ্যে কাঞ্চন-শ্রীময়ী-পিঙ্কির ‘কহানি’৷ অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ যাই থাক না কেন, এর শেষ কোথায়? পরবর্তী প্রজন্মকে কি শিক্ষা দিচ্ছি আমরা৷ প্রশ্নটা কিন্তু উঠছে, সমাজের সর্বস্তর থেকেই৷