খাস খবর এক্সক্লুসিভ: আগুনপাখি নচিকেতার ‘ছদ্মবেশী’ উড়ান…

0
317

পূর্বাশা দাস: ফিনিক্সের মতো দু’ডানায় আগুন নিয়ে আজও উড়ে বেড়ায় একটা জীবনবোধ। যার প্রতি উড়ানের সাথে গা ঘেঁষে উড়ে যায় কখনও দায়বদ্ধতা আবার কখনও বা প্রেম। ডানার পালকে আবেশ আনে দু’চোখে ধরা আকাশ আর আগুনে পুড়ে আরও খাঁটি হয় শ্রেণীহীন সমাজের স্বপ্ন। সত্যিই তো, আরও আরও কত ওড়া বাকি! এবার কিন্তু ‘ছদ্মবেশী’ ওড়া। এইভাবেই নচিকেতাকে ওড়াতে চেয়েছেন অভিনন্দন। আগুনপাখির আঁচে পুড়েই তৈরী যার জীবনবোধ, সেই একলব্যেকে ছদ্মবেশী গুরুদক্ষিণা নিয়েই যেন আশীর্বাদ দিলেন গুরু।

- Advertisement -

আরও পড়ুন: খাস খবর এক্সক্লুসিভ: মা বা বাবা নয়, ঋতাভরী চক্রবর্তী প্রথম শব্দ উচ্চারণ করেছিলেন ‘গুন্ডা’

নতুন গান ‘ছদ্মবেশী’তে গুরু নচিকেতাকে নিজের কথায় ও সুরে গান গাইয়েছেন আগুনপাখির এক সদস্য অভিনন্দন সরকার। বাংলা জীবনমুখী গানের অন্যতম ধারক-বাহক ও মহীরুহ নচিকেতা চক্রবর্তী। একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে গান গাওয়া দিয়ে নিজের সঙ্গীত জীবন শুরু হয় নচিকেতার। ধীরে ধীরে সাফল্যের সমার্থক হয়ে ওঠেন শিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। একের পর এক হিট গানে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন তিনি। সমাজের বিভিন্ন ইস্যুতে আগুন ঝরেছে তাঁর কলমে, তাঁর কন্ঠে। প্রতিবাদে গর্জে উঠে নিজের লেখা গানকেই হাতিয়ার করেছেন ‘আগুনপাখি’ নচিকেতা চক্রবর্তী।

সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে নতুন গান ‘ছদ্মবেশী’র টিজার। আগুনপাখির সদস্য অভিনন্দন নচিকেতার কাছে পুত্রসম। অভিনন্দনের ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন তিনি। এক্সক্লুসিভলি খাস খবরকে নচিকেতা জানালেন, “অভিনন্দন আমার পূর্ব পরিচিত। আমার বহু পুরনো ভক্ত ও। আমার লেখা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই লিখতে শুরু করে অভিনন্দন এবং এখন ও নিজেই এত ভালো লেখে যে আমিই ওর লেখার ভক্ত হয়ে গেছি। অভিনন্দন আমাকে গান গাওয়ার প্রস্তাব দেয়। তিনটে গান পাঠিয়েছিল, তার মধ্যে আমি এই গানটি পছন্দ করেছি। ছদ্মবেশী গানটি আমি গেয়েছি এবং শ্রোতাদের মধ্যে গানটি সাড়া ফেলেছে এটা খুব ভালো লাগছে। আমি অভিনন্দনকে শুধু এটুকুই বলতে চাই যে, এই গানটা এত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে সেটা শুধুমাত্র তোর লেখার জন্য, তোর সুরের জন্য। আমার গাওয়ার জন্য নয়।”

আরও পড়ুন: পরমব্রত-প্রিয়াঙ্কাকে ‘মানবজমিন’এ মিলিয়ে দিলেন পরিচালক শ্রীজাত

‘ছদ্মবেশী’ গানটির কথা ও সুর অভিনন্দনের হলেও গানের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছেন নচিকেতা। নচিকেতার কথায়, “যদি আমাকে বলতেই হয় ‘বাঁশি তোমায় দিয়ে যাব কাহার হাতে’ এবং সেক্ষেত্রে বাঁশিটা যদি কলম হয় তাহলে অবশ্যই অভিনন্দনের হাতে দিয়ে যাওয়া যায়।”