মীরাক্কেলের ১৫ বছর, ইপি থেকে ডিরেক্টর-প্রডিউসার হয়ে ওঠার গল্প শোনালেন শুভঙ্কর

আজ থেকে পনেরো বছর আগে ২০০৬ সালে দাঁড়িয়ে মীরাক্কেলের মত স্ট্যান্ড আপ কমেডি শো নিয়ে আসার ভাবনা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল।

0
170

পূর্বাশা দাস: আজ থেকে পনেরো বছর আগে ২০০৬ সালে দাঁড়িয়ে মীরাক্কেলের মত স্ট্যান্ড আপ কমেডি শো নিয়ে আসার ভাবনা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল। শুরুতে শোয়ের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ থেকে নির্মাতা সকলেই সন্দিহান ছিলেন। সেই সময় বাংলা টেলিভিশনে একটা ছক ভাঙ্গা কমেডি শো নিয়ে আসার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন নির্মাতারা। আজ ১২ই জুন পায়ে পায়ে পনেরো বছর পূর্ণ করল মীরাক্কেল।

আরও পড়ুন- দু’বছরে দু’রকম জন্মদিন কনীনিকার কন্যা কিয়ার

- Advertisement -

একদম শুরুর দিকে এই শো পরিচালনা করতেন রাজ চক্রবর্তী। দু’টো সিজন পরিচালনা করার পর রাজ শোয়ের দায়িত্ব ছাড়েন। তখন রাজের জায়গায় আসেন শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। শুভঙ্কর প্রথম থেকেই মীরাক্কেলের এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার ছিলেন। মীরাক্কেলে যে মানুষটি ক্যামেরার পিছনে থেকে নেতৃত্ব দেন তিনি শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। আজ সকালে মীরাক্কেলের পনেরো বছরের জন্মদিনে শুভঙ্কর তাঁর সোশ্যাল হ্যান্ডেলে মীরাক্কেলের সঞ্চালক মীরের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে লেখেন, “১২ই জুন হেসে খুন… মীরাক্কেল এর পনেরো বছরের জন্মদিন।”

আরও পড়ুন- বোমা বিস্ফোরণে উড়ে যাওয়া বিজেপির দলীয় কার্যালয় পরিদর্শনে শুভেন্দু

এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার থেকে মীরাক্কেলের পরিচালনার দায়িত্বে আসার অভিজ্ঞতা এক্সক্লুসিভলি খাস খবরকে জানিয়েছেন শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “যখন মীরাক্কেলের পথচলা শুরু হয়েছিল তখন আমি চ্যানেলে চাকরি করতাম। সেই সময় আমি মীরাক্কেলের এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার ছিলাম। নতুন ফরম্যাটের এই শোয়ের জন্য তখন আমাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। রাজ ছেড়ে দেওয়ার পর চ্যানেল কর্তৃপক্ষের তরফে আমাকে শোয়ের পরিচালনার দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছিল। তারপর আমি চ্যানেলের চাকরি ছাড়ি। ধীরে ধীরে মীরাক্কেলের পথচলা দীর্ঘ হয়। অনেক বাধা পেরিয়ে অবশেষে সাফল্য আসে। টেলিভিশনের ইতিহাসে আমি হয়তো একমাত্র মানুষ যে একটা শোয়ের ই.পি থেকে ডিরেক্টর এবং পরে প্রডিউসার হয়েছি।”

আরও পড়ুন- পাক সাংবাদিককে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফেরানোর আশ্বাস দিগ্বিজয়ের

মীরাক্কেল শুধুমাত্র বাংলাতেই আবদ্ধ থাকেনি। ভারতবর্ষের অন্যান্য রাজ্যেও অডিশন হয়। সর্বোপরি মীরাক্কেলের ব্যাপ্তি ছিল দেশের বাইরেও। বাংলাদেশ থেকেও বহু প্রতিযোগী এই শো’তে অংশগ্রহণ করেছেন। পরিচালক শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায় মনে করিয়ে দেন, “মীরাক্কেল শুধুমাত্র একটা কমেডি শো ছিলনা। মীরাক্কেলের একটা সামাজিক দায়িত্ববোধ ছিল। বিভিন্ন সোশ্যাল, ইমোশনাল ইস্যু নিয়েও আমরা কাজ করেছি।”

মীরাক্কেল যাতে আরো বেশি করে সব বয়সের মানুষের কাছে পৌঁছতে পারে তাই মীরাক্কেলে ছোট থেকে বড় বিভিন্ন বয়সের প্রতিযোগীদের প্রজেক্ট করা হয়েছে। ভালো,খারাপ নানান পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে মীরাক্কেল পনেরো বছরে ১০ নম্বর সিজনে পৌঁছেছে। মীরাক্কেল ১১ কবে আসবে? এর উত্তরে শুভঙ্কর বললেন, “লকডাউনের কারণে সদ্য শেষ হওয়া ১০ নম্বর সিজনটা ঠিকমতো গুছিয়ে ওঠা যায়নি। গ্রুমিং থেকে শুরু করে আরও খুঁটিনাটি বিষয়ে অনেক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছিল। পরিস্থিতি সহায় থাকলে, সবকিছু ঠিকঠাক হলে আগামী দিনে হয়তো মীরাক্কেল সিজন ১১ দেখা যেতে পারে। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে পরিস্থিতির উপর। পরিস্থিতি যদি ঠিক হয় তাহলে আমরা আবার আসবো মীরাক্কেল নিয়ে। কারণ এই পরিস্থিতিতে ভারত এবং বাংলাদেশের শিল্পীদের নিয়ে মীরাক্কেলের মতো একটা অনুষ্ঠান করা সত্যিই খুব চাপের। পরিস্থিতি ঠিক হলে চ্যানেল যদি রাজি থাকে তাহলে দর্শকরা মীরাক্কেল ১১ দেখতে পাবেন।