Durgapujo 2021: এখানে হিন্দুরাই সংখ্যালঘু, মুসলিমদের হাত ধরে ১৭ বছর পর ফের উমা-আরাধনা

0
49

কলকাতা: সাধারণ প্যাণ্ডেল৷ সাধারণ প্রতিমা৷ তবু মানসিকতার নিরিখে অন্যদের পিছনে ফেলে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছেন ওরা৷

আরও পড়ুন: BREAKING: মন্ত্রীর পুজোয় দশ লাখি অনুদান, ভাইরাল ‘নিরীহ’ চেক

- Advertisement -

আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের শিশুপাল ফাউন্ডেশন৷ ৬০ বছর আগে একদল হিন্দু যুবক মিলে শুরু করেছিলেন ঘরের মেয়ে উমার আরাধনা৷ ধীরে ধীরে কর্মসূত্র সহ নানা কারণে সেই হিন্দু পরিবারগুলি পাড়া ছাড়তে শুরু করেন৷ কমতে কমতে সংখ্যাটা এসে ঠেকেছে মাত্র তিনে৷ ফলে প্রায় ১৭ বছর আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের শিশুপাল ফাউন্ডেশনের উমা আরাধনা৷

আরও পড়ুন:  COVID : পরণে নতুন পোশাক, মুখ থেকে উধাও মাস্ক: হ্যাঁ, আমরা আধুনিক

এলাকার বর্তমান স্ট্যাটাস বলছে- এই তথ্য অতীত৷ ২০২১ সাল থেকে ফের এলাকায় শুরু হয়েছে উমা আরাধনা৷ সৌজন্যে, এলাকার মুসলিম যুবকদের উদ্যোগ৷ কারণ, এই পাড়ায় এখন সংখ্যা লঘু হিন্দুরাই৷ কিংবা বলা ভাল, মাইনরিটিদের পুজো পরিচালনার গুরুভার সামলাচ্ছেন সমাজের তথাকথিত ‘মাইনরিটি’ সম্প্রদায়ের মানুষেরাই৷ চারিদিকে যখন জাতপাত নিয়ে হানাহানির ঘটনা নিত্য নৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন এমন একটা সম্প্রীতির আবহকে ‘মিরাকল হ্যাপেন’ বললেও কম বলা হয়- মত ওয়াকিবহল মহলের৷

কর্মকর্তাদের অন্যতম ওয়াসিম আলি জানালেন, প্রায় ১৭ বছর আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল দুর্গাপুজো৷ এখন এলাকায় মোটে তিনটি হিন্দু পরিবার রয়েছে৷ সেই পরিবারেরই সন্তান কিশোর সায়ন্তন সপ্তাহ তিনেক আগে কথার ছলে বলছিল- জানতো দাদা, বাবা দুঃখ করে বলছিল, পাড়ার পুজোটা বন্ধ হয়ে গেল৷ তখনই মাথায় আসে, আমরা কি পুজো পরিচালনায় এগিয়ে যেতে পারি না৷

ব্যস, যেমন ভাবা তেমনই কাজ৷ ঝাঁপিয়ে পড়লেন এলাকার মুসলিম যুবকেরা৷ পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি আদায় থেকে শুরু করে চাঁদা কালেকশন-সবই করলেন ওরা৷ ওয়াসিমের কথায়, ‘‘পুজোর ধরণটা তো আমরা জানি না৷ তাই ওই দায়িত্বটা হিন্দু পরিবারগুলোকে সামলাতে বলি৷ বাকি আয়োজন আমরা করে ফেলি৷’’ রাতারাতি দেওয়া হল প্রতিমার অর্ডার৷ শুরু হল কাপড়ের সাধারণ প্যাণ্ডেল৷ সেখানেই একচালার সাবেকি উমা আরাধনা৷

কিশোর সায়ন্তন সেনের কথায়, ‘‘এলাকার দাদারা (মুসলিম সম্প্রদায়ের) মানুষরূপী দেবতা৷ ওরা এভাবে এগিয়ে না এলে পুজোটাই শুরু করা যেত না৷’’ যা শুনে ওয়াসিমের আবেগতাড়িত প্রতিক্রিয়া, ‘‘নিশ্চয়ই মা চেয়েছিলেন৷ না হলে কি এই অসাধ্যসাধন সম্ভব হত!’’