কলকাতা: কবে খুলবে স্কুল, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে জানানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ বস্তুত, পান শালা থেকে মেলা, রাজ্যে সবই চালু রয়েছে। অথচ এখনও স্কুল চালু করার ক্ষেত্রে কোনও অনুমতি মেলেনি। তাই স্কুল খোলার দাবিতে কলকাতা থেকে জেলায় জেলায় ক্রমেই বাড়ছে অভিভাবক থেকে পড়ুয়াদের ক্ষোভ, বিক্ষোভ। ইতিমধ্যে স্কুল খোলার দাবিতে আদালতে রুজু হয়েছে চারটি মামলা। ওই মামলার শুনানিতেই শুক্রবার কলকাতা আদালতের প্রধান বিচারপতি রাজ্যকে দু’সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের মত জানানোর নির্দেশ জারি করল৷
আদালত সূত্রের খবর, এদিন প্রধান বিচারপতির এজলাসে মামলার শুনানির শুরুতেই রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, ‘‘রাজ্য চায় স্কুল খুলতে৷ কিন্তু তাড়াহুড়ো করে স্কুল খুললে যদি আচমকায় সংক্রমণ বেড়ে যায়, তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে৷’’ রাজ্যের তরফে আদালতে যুক্তি দেওয়া হয় যে, এখনও সমস্ত পড়ুয়া ভ্যাকসিন পায়নি। আবার যারা পেয়েছে, তাদের ভ্যাকসিনেশনের পর ১৫ থেকে ২০ দিন নজরে রাখা জরুরি৷ তাই স্কুল খোলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করা ঠিক নয়৷
এরপরই আদালতের তরফে জানানো হয়, মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি৷ সেদিনই যেন এই বিষয়ে তাঁদের চূড়ান্ত মতামত আদালতকে জানায় রাজ্য৷ বস্তুত, এদিন মামলাকারীদের পক্ষে বাম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে জানান, যে স্কুল খোলার মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত৷ কার টানা স্কুল বন্ধ থাকায় পড়ুয়াদের মনে প্রভাব পড়ছে৷ আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটছে৷ করোনার অজুহাত দিয়ে এভাবে সবকিছু খোলা রেখে স্কুল বন্ধ রাখার কোনও মানে হয় না৷
পাল্টা হিসেবে রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়, এখনও পর্যব্ত রাজ্যের প্রায় ৩০ লক্ষ পড়ুয়াকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হলেও প্রায় ১৫ লক্ষ পড়ুয়া টিকার বাইরে রয়েছে৷ তাই তাড়াহুড়ো করলে হিতে বিপরীত হতে পারে৷
আরও পড়ুন: ‘পতি পরম গুরু’, নারদ মামলার হাজিরাতেও আদালতে শোভন সঙ্গী বৈশাখী