শিয়ালদহ থেকে বউবাজারের দিকে যাত্রা শুরু উর্বির

0
81

কলকাতা: নতুন বছরের শুরুতেই সুখবর মেট্রোযাত্রীদের জন্য। টানেল বোরিং মেশিন উর্বি যাত্রা শুরু করল শিয়ালদহ থেকে বউবাজারের দিকে। গত বছর অক্টোবর মাসে শিয়ালদহ অবধি এই একমুখী টানেল তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এবার শিয়ালদহ থেকে আর একটু এগোতেই এই সিদ্ধান্ত কেএমআরসিএল-এর।

 

- Advertisement -

উর্বি হচ্ছে এমন একটি মেশিন যা এই প্রকল্পের দুটি টানেলের কাজ একই সঙ্গে শেষ করতে চলেছে। শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন থেকেই প্রথম মাটি ফুঁড়ে বেরিয়েছিল এই মেশিন। উর্বির অর্থ পৃথিবী। ইঞ্জিনিয়ারদের ভাষায় এই পৃথিবী মানে মাটি। সেই কারণেই মাটির নীচে উর্বির যাত্রা সফল হয়েছে। তার এই কাজের জন্য তার কাঁধে সমস্ত দায়িত্বভার তুলে দিয়েছে।

নির্মাণকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বউবাজারে যেখানে টানেল বোরিং মেশিন চান্ডি আটকে আছে সেখানেই এই মেশিনকে পাঠানো হল। ৪ জানুয়ারি উর্বির যাত্রা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন থেকে এই জায়গার দূরত্ব প্রায় ৮০০ মিটার। এখানে পৌঁছালে তার কঠিন কাজ শুরু হবে এমনটাই ধারণা।

 

কেএমআরসিএলের চিফ ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বনাথ দেওয়ানজী বলেছেন, ”কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত এলাকার মধ্যে দিয়ে টানেল নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর পরেও নিয়ে যাওয়া হবে। টানেল যেমন হওয়া উচিত ঠিক তেমনটাই হয়েছে। আমরা ওই এলাকার সব বাড়ি সমীক্ষা করেছি। যে সব বাড়ি বিপদজনক তার তালিকা আমাদের কাছে আছে। ফলে অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে সবদিক ভাবনাচিন্তা করেই আমরা টানেল খোঁড়ার কাজ শুরু করব”।

 

এই বিষয়ে নির্মাণকারী সংস্থা আইটিডি সিইএমের চিফ অপারেশন ম্যানেজার রুপক সরকার বলেছেন, ”আমাদের পরিকল্পনা ৫ জানুয়ারি থেকে টানেল বোরিং মেশিন সুড়ঙ্গ তৈরি করে শিয়ালদহ থেকে বউবাজারের দিকে এগোবে ৷ তিন মাস সময় লেগেছিল এই টানেল বোরিং মেশিনকে খন্ড খন্ড করে বার করায়। তারপর তাকে রিফ্রাবিশ করে নেওয়া হয়। তারপর তার অ্যালাইনমেন্ট ঠিক করে নেওয়া। তারপর তাকে চালনা করা হল”।

 

তিনি জানিয়েছেন, জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এই কাজ শুরু করায় প্রায় তিন মাস সময় লাগবে এই টানেল বানাতে। তাই আশা করা যায় বাংলা নববর্ষের আগেই হাওড়া ময়দান থেকে শিয়ালদহ দুটি টানেল তৈরি হয়ে যাবে। যদিও এই কাজ করতে গিয়ে বেশ সাবধানেই করতে হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারদের।

 

ইতিমধ্যেই চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা জানিয়েছে রেল মন্ত্রক। এদিকে তার মধ্যেই সব কাজ শেষ করতে চায় মেট্রো রেল ও কেএমআরসিএল।