মাত্র ৪৫ টাকায় নববর্ষের ভোজ, সস্তার ভোজের আড়ালেই চলত প্রতারনা চক্র

0
189
Cheap feast

খাস খবর ডেস্ক: চৈত্র মাস শেষ প্রায় শেষ হতে চলল। আর মাত্র কয়েকদিন পর বাংলা বর্ষের শুরু হবে। আর নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ভিন্ন স্বাদের খাবারের ডালি সাজিয়েছে বিভিন্ন রেস্তোরাঁ। সঙ্গে তো অফার থাকছেই। মাত্র ৪৫ টাকায় লুচি, ছোলার ডাল, পোলাও, খাসির মাংস, চাটনি, পাঁপড় আর রসগোল্লা। কিন্তু কে জানত এই সস্তার ভোজনের ফাঁদে পা দিলেই সর্বস্ব খোয়াতে হবে।

আরও পড়ুনঃ মিল খুললেও রয়েছে উৎপাদনের সমস্যা, জুটমিলের সামনেই ধরনায় শ্রমিকরা

- Advertisement -

চেটেপুটে বাঙালি’। নববর্ষের ভোজ মাত্র ৪৫ টাকায়! মিলবে লুচি, ছোলার ডাল, পোলাও, খাসির মাংস, চাটনি, পাঁপড় আর রসগোল্লা। এখনই বরাত দিলে পাবেন ৪৫ টাকায়। বাংলা বর্ষবরণের দিন যত এগিয়ে আসবে, ততই দাম বাড়বে! মেসেজে আরও লেখা, এই মেনুই শুরু হয়েছিল প্লেট প্রতি ৩৫ টাকায়। প্রচুর বরাত আসায় দশ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছে! প্রতি বর্ষবরণে বড় করে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন হয় মানিকতলার রুদ্র বাড়িতে। এই টাকায় এত খাবার পাওয়া যাবে। এই সুযোগে বরাত দিতে গিয়েছিলেন মানিকতলার বাসিন্দা দেবদুলাল রুদ্র। কিন্তু, ৪৫ টাকার লোভে বেরিয়ে গিয়েছে তাঁর ৪৫ হাজার টাকা।

আরও পড়ুনঃ ফাঁস গোপন কর্মসূচি, গণহত্যার প্রতিবাদে নবান্ন অভিযান BJP-র

কয়েকটি লিঙ্কে আঙুল ছোঁয়াতেই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে যায় ৪৫ হাজার টাকা। সঙ্গে সঙ্গে তিনি লালবাজারে অভিযোগ করেন। কিন্তু, পুলিশ বলছে, এই সব করতে গিয়ে তিনি নাকি এমন একটা অ্যাপ মোবাইলে ডাউনলোড করে ফেলেছেন, যাতে দেবদুলাল বাবুর ফোনের দখল হ্যাকারের হাতে চলে গিয়েছে। এর ফলেই খাওয়ানোর নামে এ ভাবে হাতসাফাই করা হচ্ছে।

লালবাজারের গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছর ধরেই যে কোনও উত্‍সবের নামে হাতসাফাইয়ের নতুন নতুন পন্থা বার করছে সাইবার প্রতারকেরা। কখনও খাবারের অফার দেওয়া হচ্ছে তো কখনও কম টাকায় বেড়াতে যাওয়ার নাম করে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হচ্ছে। গত কয়েক দিনে নববর্ষের খাবারের নামে সব থেকে বেশি প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়েছে। ১৫ দিনে এমন ১২টি অভিযোগ এসেছে লালবাজারের সাইবার শাখায়। বিধাননগর এবং ব্যারাকপুর কমিশনারেট মিলিয়ে এমন অভিযোগ ২৮টি।

লালবাজারের সাইবার শাখার কর্তাদের পরামর্শ, যে কোনও ছাড়ের মেসেজ সম্পর্কে সতর্ক হতে হবে মানুষকে। কোনও সংস্থায় টাকা পাঠানোর আগে দেখে নিতে হবে, তাদের ওয়েবসাইট আদৌ বৈধ কি না। এর জন্য ওয়েবসাইটের ইউআরএল ভাল করে দেখতে হবে। প্রতারকেরা অনেক সময়েই অক্ষর অদলবদল করে ওয়েবসাইটের নাম নকল করে। সতর্ক থাকতে হবে এই ব্যাপারেও।