কলকাতা: কলকাতায় অরিজিৎ সিংয়ের কনসার্ট বাতিল এবং নন্দনে দেব-মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত ‘প্রজাপতি’ হল না পাওয়া- এই দুই ঘটনায় রং লেগেছে রাজনীতির। বিরোধিরা আক্রমণ শানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে। এবার দুই বিতর্কে মুখ খুললেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।
বাম নেতা বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা ধ্বংস হয়েছে। সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধ ধ্বংস করা হচ্ছে। নন্দনে প্রজাপতি না দেখানো নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলছেন তাঁদের এই প্রশ্নটা আরও আগে তোলা উচিত ছিল যখন সত্যজিৎ রায়কে কেন্দ্র করে তৈরি ছবি ‘অপরাজিত’ নন্দনে জায়গা পায়নি।” সুজন চক্রবর্তী বর্তমান রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, “নন্দনের উদ্বোধন করেছিলেন সত্যজিৎ রায়। পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। সেইসময় জ্যোতি বসু উদ্বোধনের ব্যবস্থাপনা কেড়ে না নিয়ে সত্যজিৎ রায়ের হাতে তুলে দেন। এটাই বামপন্থার সংস্কৃতি। কিন্তু এখন সম্পূর্ণ উল্টো।” যোগ করেন, “দেব মিঠুনের সঙ্গে গায়ে গায়ে লেগে আছে বলে প্রজাপতি বন্ধ, অন্যদিকে অরিজিৎ সিংয়ের অনুষ্ঠান বাতিল সবই বাংলার শিল্প সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার ছোট ছোট প্রচেষ্টা।”
আরও পড়ুন: ‘বাপ কা বেটা’, দলের কর্মীদের দিকে তাকালেই ধোলাই হবে BJP’র, মন্ত্রীপুত্রের মন্তব্যে বিতর্ক
প্রসঙ্গত, নন্দনে ‘প্রজাপতি’ জায়গা না পাওয়ায় বিরোধীরা শাসক দলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। অনেকেই দাবি করছেন, মিঠুন বিজেপি নেতা হওয়ায় নন্দনে হল দেওয়া হয়নি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। অন্যদিকে, আচমকাই ইকোপার্কে অরিজিৎ সিংয়ের অনুষ্ঠান বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় হাডকো কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকদিন আগেই অনুষ্ঠিত কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে ‘রং দে তু মোহে গেরুয়া’ গান গাওয়ার কারণেই কনসার্ট বাতিল হয়েছে বলে কথা উঠছে।