ভবানীপুর এবং বাগবাজারে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তায় রয়েছে লালবাজার

0
762

কলকাতা: ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া  এই তিন জেলায় পরিস্থিতি খুবই খারাপ।  কলকাতার মধ্যে দক্ষিণে ভবানীপুর আর উত্তরে বাগবাজার এ করোনা পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি উদ্বেগে রেখেছে পুলিশকে।

এই মুহূর্তে কলকাতা পুলিশ এলাকায়  কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ১৮টি। এর মধ্যে ভবানীপুর থানা এলাকাতেই রয়েছে চারটি। একই ভাবে বাগবাজারে শুধু শ্যামপুকুর থানা এলাকাতেই রয়েছে দু’টি কন্টেনমেন্ট জোন।

- Advertisement -

ভবানীপুরে কন্টেনমেন্ট জোন এত বেশি কেন তা খতিয়ে দেখতে সোমবার সেখানে যান  পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। তারপর ডিসি (সাউথ) মিরাজ খালিদ, থানার ওসি এবং ওই ডিভিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) মুরলীধর শর্মার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। কিছু কিছু পাড়ায় সংক্রমণ কেন বেশি ছড়াচ্ছে, সে সম্পর্কেও খোঁজ নেন তিনি। তাতে দেখা যায়, একটি কন্টেনমেন্ট জোনে আক্রান্ত বাসিন্দারা সকলেই সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন।

জানা গিয়েছে, এরপরেই কমিশনার নির্দেশ দিয়েছেন কন্টেনমেন্ট জোনগুলি ঠিক ভাবে চিহ্নিত হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখার। সেই সঙ্গে ভবানীপুরের বাসিন্দারা অন্যান্য জায়গার তুলনায় কেন বেশি করে আক্রান্ত হচ্ছেন, তা নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মার্চের শেষ থেকে জুন পর্যন্ত ১০০ জনেরও বেশি বাসিন্দা আক্রান্ত হয়েছেন ভবানীপুরে। যার মধ্যে রয়েছেন পুলিশের এক আধিকারিকও। সেই কারণে ওই এলাকা নিয়ে চিন্তায় স্বাস্থ্য দফতর থেকে শুরু করে পুরসভাও। ভবানীপুর আট নম্বর বরোর অধীন। ওই বরোর ন’টি এলাকা রয়েছে কন্টেনমেন্ট জোনে।

এরপর কমিশনার থানার ওসিদের এক বার্তায় নিজের নিজের এলাকার হটস্পটগুলি খতিয়ে দেখতে বলেছেন, যেগুলি কন্টেনমেন্ট জোনের আওতায় আনা যেতে পারে। এ নিয়ে কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে তাঁদের। পুরসভাকে সঙ্গে নিয়ে বাজারগুলি জীবাণুমুক্ত করতেও বলা হয়েছে ওসিদের।

এরপরেই রাতেই শোভাবাজার, হাতিবাগানের মতন বাজার এলাকায় সেই কাজ হয়। এছাড়া, ভবানীপুরে সংক্রমণ রুখতে পুলিশের তরফে যদুবাবুর বাজার ও পদ্মপুকুর-ল্যান্সডাউন বাজারের ব্যবসায়ীদের বসার উপরে নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছে। ফুটপাতের ব্যবসায়ীদেরও এক দিন অন্তর বসতে বলা হয়েছে।

উত্তর কলকাতার বাগবাজারে  শ্যামপুকুর থানার অধীনে দুটি কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে। সেখানে সংক্রমণ যাতে আরও ছড়িয়ে না-পড়ে, তার জন্য পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

এছাড়া সকলে যাতে মাস্ক পরেন এবং সামাজিক দূরত্ব-বিধি মেনে চলেন, তা নিশ্চিত করতে এলাকায় মাইকে প্রচার চালাতে বলা হয়েছে। কন্টেনমেন্ট জোন এলাকা থেকে যাতে কেউ বাইরে যেতে না পারেন। সেই জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।