ফেসবুকের সৌজন্যে ‘লাইভ আত্মহত্যা’ রুখল পুলিশ

0
200

কলকাতা: বর্তমান সময়ে মানুষের জীবনের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। প্রতিটি মুহূর্তে নিজের অবস্থান এবং ক্রিয়াকলাপ ফেসবুকে আপডেট দিতে থাকে বহু মানুষ। সেই ধারা বজায় রেখে আত্মহত্যা করতে উদ্যত হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। যদিও পুলিশের সৌজন্যে তা সম্ভব হয়নি। এর পিছনেও রয়েছে সেই ফেসবুকের সৌজন্য।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত দেড়টা নাগাদ আত্মহত্যা করতে উদ্যত হয় এক ব্যক্তি। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া তিনি ফেসবুকের মাধ্যমে লাইভ করছিলেন। নিজের শেষযাত্রাতেও সাক্ষী রাখতে চেয়েছিলেন ফেসবুকের বন্ধুদের। সেই কারণেই মোবাইলে ফেসবুক লাইভ চালু করে আত্মহত্যা করতে উদ্যত হয়েছিলেন অভিষেক ভট্টাচার্য্য নামের ওই ব্যক্তি।

- Advertisement -

ফেসবুকের বন্ধু অভিষেক নিজের জীবন শেষ করে দিচ্ছে তা মেনে নিতে পারেনি নীলাদ্রি বন্দ্যোপাধ্যায় নামের আরেক ব্যক্তি। তিনিই ১০০ নম্বর ডায়াল করে তাঁর ফেসবুক বন্ধু অভিষেকের ‘লাইভ আত্মহত্যা’ সম্পর্কে পুলিশকে অবগত করেন। ফোনে নীলাদ্রই বাবু শুধু জানাতে পেরেছিলেন যে অভিষেক ভট্টাচার্য্য নামের একজন ব্যক্তি আত্মহত্যা করছেন। যিনি সাপুইপাড়া নামক কোনও একটি জায়গায় থাকেন। খুব সম্ভবত অভিষেক ভট্টাচার্য্যের বাড়ি গরফা থানা এলাকায় হতে পারে। এমনই জানিয়েছিলেন নীলাদ্রিবাবু।

রাত তখন ১টা বেজে ৩২ মিনিট। নীলাদ্রি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন পেয়েই সক্রিয় হয় পুলিশ। তড়িঘড়ি কন্ট্রোলরুম থেকে খবর দেওয়া হয় গরফা থানা এলাকায়। ফেসবুকের সৌজন্যেই পুলিশ নিশ্চিত হয়ে যায় আত্মহত্যায় উদ্যত অভিষেক ভট্টাচার্য্যের অবস্থান সম্পর্কে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ৫৫/৩ কালীতলা রোডে অভিষেকবাবুর বাড়িতে পৌঁছে যান গরফা থানার সাব ইন্সপেক্টর সৌভিক দাস। আত্মহত্যা করতে যাওয়া অভিষেক ভট্টাচার্য্যকে উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত্যুর পথে তিনি যেতে পারেননি।

১০০ নম্বরে ফোন যাওয়ার পরে মাত্র ২৫ মিনিটের মধ্যেই সমগ্র কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে কলকাতা পুলিশ। নিজেদের দক্ষতা এবং প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমেই তা সম্ভব হয়েছে বলে মনেই করছে লালবাজার। সেই সঙ্গে গরফা থানার পুলিশকর্মীদের তৎপরতাকেও জানানো হচ্ছে কুর্নিশ।