চিট ফান্ডে প্রতারিতদের অর্থ ফেরতের আশা জাগালো হাইকোর্ট

0
277
DA

কলকাতা: কিছু বেসরকারি অর্থ লগ্নি সংস্থা সমাজে গজিয়ে ওঠে। মানুষ নিজেদের আয়ের কিছু অংশ বাঁচিয়ে লাভের আশায় জমা রাখে এই সমস্ত অর্থ লগ্নি সংস্থায়। তবে একটা সময় এইসব অর্থ লগ্নি সংস্থাগুলো হটাৎই বন্ধ হয়ে যায়। মাথায় হাত পড়ে সাধারণ মানুষদের। তাঁদের জমানো টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় বসে থাকে প্রতারিতরা। এবার এইসব ভুক্তভোগীদের ফের আশার কথা শোনাল কলকাতা হাইকোর্ট।

গত বছর হাইকোর্টের নির্দেশ মতোই শুক্রবার রাজ্য সরকার হলফনামা দিয়ে জানায়, ১৩৮ কোটি টাকা রাজ্যের তহবিলে রয়েছে। এই প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশ, পড়ে থাকা ওই ১৩৮ কোটি টাকা থেকে প্রতারিতদের প্রাপ্য মেটাতে হবে। কী ভাবে তা ফেরানো যায়, তা ফের হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে সরকারপক্ষকেই। ওই টাকা শুধু সারদায় ক্ষতিগ্রস্ত নাকি অন্য সব বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থায় প্রতারিতদেরও দিতে চায় রাজ্য, তা ঠিক করবে সরকারই। চার সপ্তাহ পরে ওই হলফনামার সঙ্গেই বিচারপতি শ্যামল সেন কমিশন যে রিপোর্ট সরকারকে দিয়েছিল, তা-ও হাইকোর্টে জমা দিতে হবে।

- Advertisement -

বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। এই বেঞ্চ জানায়, আদালত কিছু চাপিয়ে দেবে না। কিন্তু প্রতারিতদের ক্ষতিপূরণে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সেই অনুযায়ী বকেয়া ফেরানোর দায়িত্ব সরকারেরই। তবে সেই দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাইকোর্টের তরফে।

মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী শুভাশিস চক্রবর্তী ও অরিন্দম দাস। আইনজীবী অরিন্দম দাস জানান, অ্যালকেমিস্টের পর কমিটির তালিকায় যে সংস্থাগুলো আছে তাদের মধ্যে দুটো সংস্থা, পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত আমানতকারীদের টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু করতে চেয়েছে। সেই দুই সংস্থা হল ভিভজিও ও পৈলান সংস্থা। তবে কিভাবে টাকা ফেরত পাবে সে নিয়ে হাইকোর্টের আগামি শুনানি ৮ এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। অ্যালকেমিস্টের মতোই ড্রাফট মারফত টাকা পৌঁছে যেতে পারে ভুক্তভোগীদের কাছে।” যেহেতু করোনা ভাইরাসের জন্য আদালতের সব কার্যনির্বাহী বন্ধ তাই এই প্রক্রিয়া চালু হওয়ার ব্যাপারে সামান্য দেরি হবে এবং হাইকোর্টের নির্দেশকেই মান্যতা দেওয়া হবে।