‘বাংলা বোমার রাজ্য’, সাংবিধানিক পদে রাজ্যপালের অধিকার নিয়ে প্ৰশ্ন ফিরহাদের

0
79

কলকাতা: মুর্শিদাবাদের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে শনিবার সকালে ৬ জন আল কায়েদা জঙ্গিকে গ্রেফতার করে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তারপর থেকেই এই ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে নিশানা করে ক্রমাগত রাজনৈতিক প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি।

আরও পড়ুন- তৃণমূল জমানায় জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে বাংলা, দাবি বাবুলের

- Advertisement -

সেই তালিকায় শুধুমাত্র বিজেপি নেতা-নেত্রীরাই নেই আছেন বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। তিনি রাজ্য সরকার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এমনকি বাংলাকে বোমার আঁতুরঘর বলেও কটাক্ষ করেন।

সেই কটাক্ষের জবাব দিলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “রাজ্যপালের আগে ইস্তফা দেওয়া উচিৎ। রাজ্যপাল বলেন তিনি নিরপেক্ষ। তাঁর বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে গর্ব করা উচিৎ। যদি এটা বোমের রাজ্য হয়, তবে তাঁর এখনই ইস্তফা দেওয়া উচিৎ।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলা মনীষীদের রাজ্য। এখানে শান্তি থাকে। এখানকার মানুষকে যদি তিনি সম্মান দিতে না পারেন তাঁর ইস্তফা দিয়ে নিজের রাজ্যে ফিরে যাওয়া উচিৎ। সেখানে গিয়ে শান্তি হয়ে থাকুন।”

এরপরই তিনি যোগ করেন, “একজন সাংবিধানিক প্রধান হয়ে যদি একজন রাজনৈতিক প্রধানের মতো কথা বলেন, অর্থাৎ যে ভাষায় দিলীপ ঘোষ বা অমিত শাহ কথা বলেন সেই ভাষায় কথা বলেন তাহলে তাঁর এই পদে থাকার অধিকার আছে কিনা সেটাই বড় প্ৰশ্ন। সাংবিধানিক প্রধানের সর্বদা সব দলের উর্দ্ধে থাকতে হবে। দল নির্বাচন করেছে বলেই দলদাস হয়ে গেলাম তা উচিৎ নয়।”

“যে রাজ্যে পুলিশ কর্মী গুলি খেয়ে মারা যান, সেই রাজ্য সন্ত্রাসবাদের আঁতুরঘর হয় নাকি যে রাজ্যের মানুষ শান্তিতে রাস্তায় ঘুরে বেড়ান সেই রাজ্য হয়?” এই প্রসঙ্গে তিনি উত্তরপ্রদেশের উদাহরণ টেনে এনেছেন। তিনি বলেন, “যে রাজ্যের ৮ জন পুলিশ কর্মী গুলিতে মারা যান, তারপর অপরাধীকে ধরে আনার সময় সেই অপরাধীকে এনকাউন্টার করা হয় সেই রাজ্য ‘জঙ্গি রাজ্য’? নাকি যে রাজ্যে শান্তি আছে, মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যু হয় সেই রাজ্য জঙ্গি রাজ্য হয়?”

আরও পড়ুন- বাংলা না বোমা তৈরির কারখানা, আল কায়েদার জঙ্গি গ্রেফতার ইস্যুতে মমতাকে নিশানা রাজ্যপালের

প্রসঙ্গত, এদিন টুইটে রাজ্যপাল লিখেছেন, “বেআইনি বোমা তৈরির কারখানা হয়ে উঠেছে রাজ্য। এতে গণতন্ত্র বিপন্ন হতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পুলিশ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে আটকাতে ব্যস্ত। পুলিশ–প্রশাসনে উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার এই পরিস্থিতিতে দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না।”