লকডাউনের জের, বেসরকারি বাসে উদ্ধার চালকের ঝুলন্ত দেহ

0
26
bus

খাস খবর ডেস্ক: ঢাকুরিয়া-হাওড়া রুটে বাস চালাতেন তিনি, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে প্রায় দেড়মাস বন্ধ ছিল রোজগার। এবার সেই পেটের জ্বালা কেড়ে নিল প্রাণ, ৩৭ নম্বর বাস স্ট্যান্ডে একটি বাসের ভেতর থেকে উদ্ধার হল চালকের ঝুলন্ত দেহ। অন্যান্য বাসচালকদের দাবি, অভাবের তাড়নাতেই অবশেষে অন্তিম পথ বেছে নিয়েছেন চালক রঞ্জিত দাস। তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখামাত্রই লেক থানায় খবর দেওয়া হয়, পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়, পরে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন, ভাসুরের হাতে ধর্ষণের শিকার সদ্য বিবাহিতা বধু

- Advertisement -

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে মে মাসের শুরু থেকেই কড়া বিধিনিষেধ জারি করেছে রাজ্য সরকার, গড়ায়নি বাসের চাকা। তাই কাজেই, রোজগারও বন্ধ ছিল বিধিনিষেধ ওঠার পরেও বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। তাই স্বাভাবিকভাবেই আয়ও আর আগের মতো অবস্থায় ফেরেনি। এই কারণেই অভাবের তাড়নায় ভুগছিলেন রঞ্জিত। অন্যান্য বাস চালক, কন্ডাক্টরদের বক্তব্য, রঞ্জিত মাঝেমধ্যে নিজের অভাব অনটনের কথা বলতেন, বাড়িও ফিরতেন না প্রতিদিন, রাতে বাসেই ঘুমোতেন। আজ সকালবেলা তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন, মমতার পুরনো ‘কাসুন্দি’ঘেঁটে বাজেট নিয়ে তোপ দাগলেন শুভেন্দু

দেহ উদ্ধারের পরই বাসমালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে লেক থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই রুটের অন্যান্য বাসমালিকদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছে পুলিশ৷ চালক-কন্ডাক্টরদের অভাব-অনটনের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভাব ছাড়া আত্মহত্যার পেছনে অন্যান্য কারণ আছে কিনা, তাও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দেহটি। পরিবারকেও তাঁর মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। পারিবারিক অশান্তি ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।