কলকাতা: উত্তরবঙ্গের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন চার জন। অবাঙালি জওয়ানদের হাতে বাঙালির মৃত্যুর প্রতিবাদে রবীন্দ্র সদন চত্বরে বিক্ষোভ দেখায় বাংলাপক্ষ। সেনাবাহিনীতে বাঙালি জওয়ানদের নিয়োগ এবং বাঙালি রেজিমেন্ট গঠনের দাবি করা হয়েছে ভারতে বাঙালির জাতীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন- শীতলকুচির ঘটনায় নন্দীগ্রামের তুলনা টানলেন মমতা
বাংলাপক্ষের তরফে এই জমায়েত থেকে অভিযুক্ত জওয়ানদের শাস্তির দাবি করা হয়। বাংলা পক্ষের দাবি করা হয় এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে বিচার করতে হবে। বাংলা প্রকৃতরূপে আরও দাবি করা হয় বাংলার বিভিন্ন বিধানসভায় যাওয়া বাইরে থেকে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনী যাতে বাংলার সাধারন মানুষের সঙ্গে বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারে এবং তাদের কথা বুঝতে পারে সেই ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশনকে করতে হবে।
আরও পড়ুন- কালিয়াগঞ্জের সভায় মমতাকে ‘বেগম খালেদা জিয়া’ নামে সম্বোধন শুভেন্দুর
বাংলা পক্ষের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডঃ গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অভিযুক্ত জাওয়ানদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।,তারকেশ্বরে অভিযুক্ত জাওয়ান এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আগামী দফার ভোট গুলিতে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।” তিনি দাবি করেন যে ভারতীয় সেনা এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীতে বাঙালি রেজিমেন্ট তৈরি করতে হবে। বাংলা বুঝতে পারে এমন জাওয়ানদের নিরাপত্তার দায়িত্ব দিতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারী পরীক্ষা গুলিতে বাংলা ভাষায় পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
কৌশিক মাইতি বলেন, “CRPF-এ বাঙালি কম থাকায় সমস্যা হচ্ছে। বাঙালি বিদ্বেষীরা বাংলার ভোটে নিরাপত্তার দায়িত্বে। ভারতীয় সেনায় বাঙালি রেজিমেন্ট নেই কেন? অভিযুক্তদের দ্রুত শাস্তি চাই।” বাঙালি জওয়ানের গুলিতে ওই পাঁচজনের মৃত্যু হলে বাংলাপক্ষের অবস্থান কী হতো তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন- পানীয় জলের দাবিতে ভোট বয়কটের ডাক জেলায় জেলায়
অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস এর সামনে থেকে হওয়া এই প্রতিবাদ সভায় তারকেশ্বরে বাঙালি শিশুকন্যার ওপর কেন্দ্রীয় বাহিনীর জায়ানের যৌন নির্যাতনের প্রতিবাদ করে এই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে বাংলা পক্ষ। তৃণমূলের রবিবার পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জেলায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে বাংলাপক্ষ।