শরিকি বিবাদের জের, মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ঢুকে বাইক ভাঙচুর, মহিলাকে মারধরের অভিযোগ

0
45

নিজস্ব সংবাদদাতা, সল্টলেক: শরিকি বিবাদের জের। মদ্যপ অবস্থায় বাড়ির ফুলের টপ, বাইক ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল। পাশাপাশি বাড়ির মহিলাকে মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সল্টলেকের এফ ই ব্লকের ২৩ নাম্বার বাড়ির। এই ঘটনায় আক্রান্তরা অভিযোগ তুলেছে তাঁদের দাদার ছেলের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেছে ধরা পড়েছে সেই ভাঙচুরের ছবি। একইসঙ্গে বিধান নগর দক্ষিণ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর আগেও বাড়ির কেয়ারটেকারকে হাতুড়ি দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। যদিও একাধিকবার অভিযোগ জানানোর পরেও পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ আক্রান্ত পরিবারের।

বিস্তারিত খবর, লাইভ ভিডিও সহ সমস্ত রকম আপডেট পেতে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: https://www.facebook.com/khaskhobor2020/

- Advertisement -

নিগৃহিতার অভিযোগ, তার দাদার ছেলে ওই বাড়ির গ্রাউন্ড ফ্লোরে থাকে। অভিযুক্তের ওই বাড়ি ছেড়ে নিগৃহিতাদের চলে যেতে হবে। এই প্রপাটির সাতটি ভাগ রয়েছে। অভিযুক্তরও ভাগ রয়েছে। কিন্তু সে কিছুতেই অন্যদের সেই বাড়িতে থাকতে দিচ্ছে না। সেই কারণে রাতে মদ্যপ অবস্থা গালিগালাজ, ভাঙচুর ও মারধর করছে। অন্যদিকে, পুলিশ ওর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত পুলিশদের গাড়ি সরবরাহ করে তাই তার বিরুদ্ধে এই নিয়ে দশবার খুনের চেষ্টা ও শ্লীলতাহানি করা হলেও বিধাননগর দক্ষিণ থানা কোনও রকম পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন-তৃণমূলের বিক্ষোভস্থলেই বিজয় উৎসব পালন বিজেপির

জানা গিয়েছে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে দশটায় অভিযুক্ত পীযূষ প্রসাদ নির্বিচারে বাড়িতে থাকা গাড়ি ফুলের টপ ও অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর চালিয়ে ওই বাড়ির গৃহবধূ কবিতা প্রসাদ কে কুৎসিত ভাষায় গালিগালাজ করে ও মারধর করে। এই নিয়ে বিধান নগর দক্ষিণ থানায় শ্লীলতাহানি সহ মারধরের এফ আই আর করলেও সাত দিন কেটে গেলও পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। অভিযুক্ত প্রভাবশালী তাই কি পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না, উঠছে প্রশ্ন!!

সারাদিনের সমস্ত খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন খাস খবর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=app.aartsspl.khaskhobor

আক্রান্ত রাজেশ প্রসাদের অভিযোগ, পীযূষ প্রসাদের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ রয়েছে। তার দাবি, পীযুষের বেশ কয়েকটি গাড়ি বিধান নগর কমিশনারেট এবং ব্যারাকপুর কমিশনারেটে ভাড়ায় খাটে। সে কারণেই পুলিশ গাফিলতি করছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।