সন্ত্রাসের অন্য এক সংজ্ঞা দিল দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ট্রেটর’

0
251

বৈশালী চট্টোপাধ্যায়: মহামারীর কবলে পড়ে আমাদের বিশ্ব এখন ভীতসন্ত্রস্ত। সমাজের এই মহামারীর ছবির আড়ালেও বেশ কিছু সাম্প্রদায়িক যুদ্ধ মাথাচারা দিয়ে গজিয়ে ওঠে। এরকম হিন্দু-মুসলিম-খ্রিস্টান ইত্যাদি ধর্মের সংঘাতকে ফুটিয়ে তুলেছে দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি ‘ট্রেটর’।

এমন একটা প্রেক্ষাপট যেখানে ধর্মের পরিচিতিই সন্ত্রাসবাদী হওয়ার একমাত্র কারণ। আরও একতা কারন হল, ধর্ম বিভেদকে অমান্য করে হিন্দু-মুসলিম কিংবা ধর্মের ধ্বজাকে অস্বীকার করা এমনই এক প্রেক্ষাপটে উপস্থাপনা করা হয়েছে এই ছবি।

- Advertisement -

আদি বাড়ি বাংলাদেশ। বর্তমানে লেখক। সন্ত্রাসের বিবরণ বলতে তাঁর লেখা। নাট্যব্যক্তিত্ব দেবশংকর হালদার অভিনীত এই লেখক ধর্মবিভেদ মানেন না। তাঁর লেখায় স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে ধর্মান্ধ মানুষের অন্যায় এবং সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদের বিরুদ্ধচারণ। ছবিতে এই দণ্ডেই দণ্ডিত তিনি।

দোষ বলতে শুধুই যে তাঁর লেখা তা নয়। এই লেখকের কার্যকলাপ নিয়েও প্রশ্নের মুখে তিনি। তাঁর আরও একটা পরিচয় আছে, তিনি একটি বেসরকারি স্কুলের মালিক। ধর্মের গোঁড়ামির বিন্দুমাত্র নেই তাঁর মধ্যে। পুলিশি জেরায় তিনি স্বীকার করেছেন মুসলিম বেকারির দোকান থেকে তিনি ছাত্রছাত্রীদের পাউরুটি কিনে খাওয়ান। এটাও তাঁর সন্ত্রাসবাদী হওয়ার অন্যতম কারন।

বর্তমান সমাজে সংখ্যালঘুদের ঘিরে রাজনৈতিক সংঘাতকেই কটাক্ষ করেছে দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের এই ছবি। ধর্মের নামে মানুষকে সন্ত্রাসবাদী সাজানোকেই তুলে ধরেছে তাঁর ছবি। শুধু করোনা সংকট নয়, এটাও যে একটা সংকট তা স্পষ্ট বোঝা যায় ‘ট্রেটর’-এ।