নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা: করোনার গ্রাসে ধীরে ধীরে আচ্ছাদিত বিশ্ব। ভারতের অন্দরে যেভাবে এই মারণ রোগ থাবা বসিয়েছে তাতে চিন্তার মেঘ পুঞ্জীভূত। সেই রোগ প্রতিরোধে প্রাথমিক ও প্রয়োজনীয় বিধি মেনে চলার প্ৰয়োজন। যেমন, মাস্ক পরা কিংবা সামাজিক দূরত্ব বজায়। তবে এখনও সমাজের মধ্যে সেই সচেতনতা গড়ে ওঠেনি। এখনও বহু মানুষ মাস্ক পড়া থেকে বিরত থাকছেন। সেইসব মানুষের কাছে ডা. ক্ষেত্রমাধব দাশ একটাই কথা বলতে চাইলেন, সব ‘বাদ’ ছেড়ে ‘মাস্কবাদী’ হয়ে উঠুন।
আরও পড়ুন- সাড়ে পাঁচ লাখ চিকেন বিরিয়ানি অর্ডার এসেছে লকডাউনে, চমকপ্রদ তথ্য দিল সুইগি
মানুষকে সচেতন করতে এবার সোশ্যাল মিডিয়ার আশ্রয় নিলেন চিকিৎসক ক্ষেত্রমাধববাবু। কথায় বা কোনো কনফারেন্সে নয়। একটি কবিতা লিখে, এবং সেটিই পাঠ করে তিনি বুঝিয়ে দিলেন এই পরিস্থিতিতে মাস্ক পড়াটা কতটা প্ৰয়োজন আমাদের জন্য। তিনি বারবার আবেদন করেছেন ‘ঠিক মাস্ক, ঠিকভাবে সকলের পরা চাই’।
করোনা আবহে এই উপলব্ধি খুব প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। পেশায় ডাক্তার হলেও এঁনার এক অন্য পরিচয় আছে। তিনি হলেন গানের জগতের মানুষ। পাশাপাশি তাঁর কলম চলে কবিতার আঙিনায়। গান গাওয়া থেকে শুরু করে গান তৈরি সবই তিনি একা হাতে করেন। এবার সেই সঙ্গে তিনি কলম তুলে নিলেন মানুষকে সচেতন করতে। তাঁর কলমের ঝংকারে বেরিয়ে এসেছে ‘সচেতনতা’র বার্তা। পেশার সঙ্গে সঙ্গে নিজের এই অন্য প্রতিভাটা তুলে ধরেন তিনি। তাই তিনি অন্যক্ষেত্র।
শুধু তিনি মাস্ক পড়তে বলেননি, বলেছেন ‘সঠিক’ মাস্ক পড়তে। ভাল্ভযুক্ত মাস্ক যেগুলোর রমরমা হয়ে উঠেছিল একসময়, সেই মাস্কই এখন সংক্রমণের কারণ হয়ে উঠছে। তাই মানুষের কাছে তাঁর আবেদন ‘বুঝে শুনে’ মাস্ক ব্যবহার করবেন। এমনকি এই মাস্ক ব্যবহারে আরও যত্নবান হতে হবে। এইসব কথারই বহিঃপ্রকাশ হল তাঁর লেখা ও পাঠ করা ‘মাস্কবাদী’ কবিতায়।
এই কবিতা পাঠের পর তিনি বলেন, “আমার এই সামান্য ছড়ার মাধ্যমে যদি সামান্যতম মাস্ক-সচেতনতাও বাড়াতে পারি, আমার উদ্দেশ্য সফল হবে।” তিনি এ কথাও সাফ করে দেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও আনার পেছনে জনপ্রিয়তা পাওয়া লক্ষ্য নয় ক্ষেত্রমাধববাবুর। তাঁর একটাই আবেদন মাস্ক পড়ে সচেতন হয়ে এই রোগ প্রতিরোধ করা। এই ভিডিও-র মাধ্যমে যদি মানুষ সচেতন হয় সেটাই সাফল্য হবে মনে করছেন ডা. ক্ষেত্রমাধব দাশ।
