বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণের চিকিৎসায় মানবিকতার মেলবন্ধন ঘটাচ্ছেন ডা: বিধান রায়ের ভাবশিষ্য ডা: খাস্তগীর

0
97

সুমন বটব্যাল, কলকাতা: বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণে তাঁর লড়াইটা শুরু হয়েছিল প্রায় চার দশক আগে৷ তাঁর লড়াইয়ে সামিল হচ্ছেন রোগীরাও৷ বাড়িয়ে দিচ্ছেন আর্থিক সাহায্যের হাতও৷ স্বভাবতই, চিকিৎসা বিজ্ঞানের সঙ্গে মানবিকতার মেল বন্ধন ঘটানোর কাজে আরও বেশি করে নিজেকে যুক্ত করতে পারছেন ডা: বিধানচন্দ্র রায়ের ভাবশিষ্য ডা: গৌতম খাস্তগীর৷

আরও পড়ুন: উনিও চিকিৎসক, ওঁনাকে কেউ আড়ালে কসাই বলেন না!

- Advertisement -

গত বছর এই দিনে অর্থাৎ বাংলার রূপকারেরর জন্ম ও মৃত্যু দিবসে সন্তানহীন দম্পতির মুখে হাসি ফোটাতে সল্টলেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘বার্থ’ এর৷ নবজাতকের সেই জন্মদিনে ডা: বিধানচন্দ্র রায় সম্পর্কে বলতে গিয়ে আবেগতাড়িত ডা: খাস্তগীর বলছেন, ‘‘উনি শুধু চিকিৎসক ছিলেন না৷ ছিলেন বাংলার রূপকার, চিকিৎসা জগতেও ওঁনার অবদান কিংবদন্তী৷ প্রকৃত মানুষ ছিলেন৷ তাই তো বিজ্ঞানের সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটিয়েছিলেন মানবিকতার৷ চিকিৎসার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ওঁনার মানবিকতার দিকটাই আমি আমার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রথম থেকেই রক্ষা করার চেষ্টা করে এসেছি৷ তারই নিটফল এই বার্থ৷’’

বলছেন, ‘‘একথা ঠিক যে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞান আজ উন্নত৷ কিন্তু তার খরচও যথেষ্ট ব্যয় সাধ্য৷ স্বাভাবিকভাবেই, বহু ক্ষেত্রে ব্যয় সাধ্য এই চিকিৎসা সকলে করে উঠতে পারেন না৷ তবে চেষ্টা করলে ১০০জনের খরচে আরও ৪০০জনের চিকিৎসা করা যায়৷ আমরা সেটাই করছি৷’’ যাঁদের সামর্থ্য আছে তাঁদের কাছ থেকে ন্যাহ্য পারিশ্রমিক নিচ্ছেন৷ নিজেদের ভরণপোষণের খরচটুকু বাদ দিয়ে বাকি সবটাই ঢেলে দিচ্ছেন সামর্থ্যহীন অসহায় মানুষদের চিকিৎসায়৷ কেন? খাস্তগীরের কথায়, ‘‘মানবিকতার কোনও মূল্য হতে পারে না৷ সেটা বারে বারে প্রমাণ করে গিয়েছেন ডা: রায়৷ আমি তাঁরই আদর্শে অনুপ্রাণিত৷’’

করোনা আবহে মানুষের বর্তমান অর্থনৈতিক অসুবিধের কথা মাথায় রেখে প্রেগন্যান্সি পিরিয়ড থেকে অপারেশন, বার্থের চিকিৎসার খরচেও আনা হয়েছে প্রকারভেদ৷ ডা: খাস্তগীরের কথায়, ‘‘ট্রেনে এসি ফার্স্ট ক্লাস থেকে সেকেন্ড ক্লাস কিংবা আনরিসার্ভ, সব ধরণের কমার্টমেন্টই থাকে৷ সব ক্ষেত্রেই কিন্তু গন্তব্য একই৷ অথচ স্বাচ্ছন্দ্যের ফারাকে ভাড়ার তারতম্য৷ আমরাও আমাদের চিকিৎসা পদ্ধতিতে সেই সুবিধা নিয়ে এসেছি, যাতে একজন দম্পতিও যেন না এই বন্ধ্যাত্বতা দূরীকরণের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন৷ তাই এই উদ্যোগ৷’’

স্বাভাবিকভাবেই, পাশে পাচ্ছেন রোগীদেরও৷ ইতিমধ্যে অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে তিন দম্পতি তাঁর হাতে তুলে দিয়েছেন লক্ষাধিক টাকার আর্থিক সাহায্য৷ ‘চিকিৎসক মানেই কসাই!’ প্রচলিত এই ধারণার উলোটপুরাণ গৌতম খাস্তগীরের চেম্বারে৷ কেন? রোগীদের কথায়, ‘‘নবজাতকের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে পৃথিবীর আলো দেখানোয় যে তাঁর ব্রত৷ এমন মানবিক মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে থাকি কি করে!’’