চুঁচুড়ার তিতলির কাতর আবেদনে পাশে দাঁড়ালেন দেব

0
58

কলকাতা: করোনাকালে সাধারণ মানুষের জন্য অনেক আগেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। গত বছর বহু পরিযায়ী শ্রমিককে ঘরে ফেরার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। বাইরের দেশে আটকে থাকা পড়ুয়াদের ঘরে ফিরিয়েছিলেন এই অভিনেতা-সাংসদ। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ক্রমাগত মানুষকে সতর্ক করে গিয়েছেন। ভোটের প্রচারে করতে গিয়েও সবার আগে সকলকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছেন।

“আগে মানুষের জীবন তারপর ভোট”— প্রায় প্রত্যেক প্রচারের মঞ্চেই একথা বলেছিলেন দেব। গত বছর নিজের লোকসভা কেন্দ্র ঘাটালে করোনা আক্রান্তদের আত্মীয় পরিজনদের জন্য বিনা খরচে খাবারের বন্দোবস্ত করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি করোনা রোগীদের জন্যে খুলেছেন কমিউনিটি কিচেন। আবারও এই কঠিন পরিস্থিতিতে এগিয়ে এলেন দেব।

- Advertisement -

হুগলির চুঁচুড়ার বাসিন্দা তিতলি দত্তের পাশে দাঁড়ালেন অভিনেতা। তিতলির অসুস্থ বাবা বিছানায় শয্যাশায়ী। বাড়ির অর্থনৈতিক অবস্থা খুব খারাপ। ওষুধপত্র কেনা তো দূর কি বা খাবার জোগাড় করতেই হিমশিম খেয়ে যায় দত্ত পরিবার। বাড়ির পরিস্থিতির কথা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছিলেন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী তিতলি। সেই ভিডিয়ো দেখে তার আবেদনে সাড়া দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ দেব।

নীলোঞ্জিত নামে এক ব্যক্তি টুইটারে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছিলেন। সেখানে একটি বাচ্চা মেয়েকে বাবার পাশে বসতে থাকতে দেখা গিয়েছে। হাত জোড় করে ভিডিয়োতে তাঁর কাতর আবেদন, ‘আমার বাবা খুবই অসুস্থ।

আমাদের এই ওষুধটাই কেনার কোনও পয়সা নেই। দু’বেলা দু’মুঠো খেতেই পাই না, ওষুধ কোথা থেকে কিনব। আমার বাবাকে দয়া করে সাহায্য করুন’। পাশাপাশি ওষুধের প্যাকেট দেখিয়ে খুদে তিতলিকে নিজের পরিবারের কথা বলতে শোনা যায়।

ভিডিওতে শিশুটিকে আরো বলতে শোনা যায়, বাবা ছাড়া কেউ নেই তার। তাই বাবার কিছু হয়ে গেলে অনাথ হয়ে যাবে সে। তাই বাবাকে সুস্থ করে তুলতে সাহায্য চাইছে। তিতলির সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছেন অনেকে। ওই ভিডিয়ো বার্তাটির টুইটে তৃণমূল সাংসদ দেবকে ট্যাগ করা হয়। তার উত্তরও দিয়েছেন দেব। তাঁর পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন অভিনেতা সাংসদ।