Home Breaking News বদলে গেল অভিষেকের সভার মাঠ, শুভেন্দুর ডেরায় প্রকাশ্যে শাসকের কোন্দল

বদলে গেল অভিষেকের সভার মাঠ, শুভেন্দুর ডেরায় প্রকাশ্যে শাসকের কোন্দল

বে সুযোগ বুঝে শাসকের গোষ্ঠীকোন্দলের ঘোলা জল আরও ঘুলিয়ে দিতে তৎপর গেরুয়া শিবির৷ বিজেপির জেলা নেতৃত্বর কটাক্ষ, যাঁরা নিজেদের ঘর সামলাতে পারে না, হাজারও কোন্দলে জর্জরিত, তারা এই জেলায় শুভেন্দুর মতো হেভিওয়েট ‘খেলোয়াড়ে’র সঙ্গে মাঠে লড়বে কীভাবে৷

0
Abhishek Banerjee

কাঁথি ও কলকাতা: একুশের ভোটে ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ‘হটস্পট’ হয়ে উঠেছিল নন্দীগ্রাম৷ তেইশের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও যেন তারই পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে! বাকি জেলাকে পিছনে ফেলে হটস্পট হতে চলেছে বিরোধী দলনেতার খাসতালুক পূর্ব মেদিনীপুর৷ ইতিমধ্যেই দলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে জেলার গুরু দায়িত্বে পাঠিয়ে সেই বার্তা স্পষ্ট করেছেন শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্বরা৷ এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের কর্মীদের রুটম্যাপ তৈরি করে দিতে আগামী ৩ ডিসেম্বর কাঁথিতে সভা করতে আসছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)৷ আর তাকে ঘিরেই প্রকাশ্যে শাসকের কোন্দল৷

দলীয় সূত্রের খবর, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সভা করার জন্য প্রথমে কাঁথি অরবিন্দ স্টেডিয়ামটিকে বেছে ছিলেন তৃণমূলের একাংশ নেতৃত্ব৷ সুষ্ঠুভাবে সভা সম্পন্ন করতে গত ১৬ নভেম্বর দলের একাংশ নেতৃত্বর উদ্যোগে খুঁটি পূজাও করা হয়েছিল৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের কাঁথি সংগঠনিক জেলার সভাপতি ও বিধায়ক তরুন কুমার মাইতি, কাঁথি পুরসভা পুরপ্রধান সুবল কুমার মান্না সহ তৃণমূল নেতৃত্বরা৷ অভিযোগ, রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরিকে ‘অন্ধকারে’ রেখে ওই কর্মসূচি পালন করা হয়৷ যা নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বর কাছে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন অখিল৷

সূত্রের খবর, নেতৃত্বকে তিনি অনুযোগের সুরে জানান, ‘শুভেন্দুর লাগাতার ব্যক্তি আক্রমণের মুখে রাষ্ট্রপতি নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে তিনি এমনিতেই কোনঠাসা৷ প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার পরও বিরোধীরা তো বটেই, জেলায় দলের একাংশ এখনও কলকাঠি নেড়ে চলেছে৷ তার ওপর জেলায় অভিষেকের সভা হবে৷ অথচ মূল অনুষ্ঠান থেকে তাঁকেই বঞ্চিত রাখা হচ্ছে৷’ সূত্রের খবর, বিষয়টি জানতে পারার পরই বদলে ফেলা হয় অভিষেকের সভাস্থল৷ কাঁথি অরবিন্দ স্টেডিয়ামের পরিবর্তে সভাস্থল ঠিক করা হয় কাঁথির কলেজ মাঠ৷ অধিকারী পরিবারের বাড়ি শান্তিকুঞ্জ থেকে এই মাঠের দূরত্ব বড়জোর ২০০ মিটার৷ এবং মূল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অখিল গিরিকেই৷ স্বভাবতই, উচ্ছ্বসিত অখিল অনুগামীরা৷

তাঁরা বলছেন, ‘‘এত দুর্যোগের পরও দলের পুরোনো সৈনিকের (অখিল) উপর আস্থা রাখলেন শীর্ষ নেতৃত্ব৷ এতে দলের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা আরও বাড়ল৷’’ যদিও মাঠ পরিবর্তন এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ে দলের জেলা নেতৃত্বদের কেউই মুখ খুলতে চাননি৷ তবে সুযোগ বুঝে শাসকের গোষ্ঠীকোন্দলের ঘোলা জল আরও ঘুলিয়ে দিতে তৎপর গেরুয়া শিবির৷ বিজেপির জেলা নেতৃত্বর কটাক্ষ, যাঁরা নিজেদের ঘর সামলাতে পারে না, হাজারও কোন্দলে জর্জরিত, তারা এই জেলায় শুভেন্দুর মতো হেভিওয়েট ‘খেলোয়াড়ে’র সঙ্গে মাঠে লড়বে কীভাবে৷ তাঁদের দাবি, নন্দীগ্রাম বিধানসভা ভোটের পুনরাবৃত্তি ঘটবে পঞ্চায়েতেও৷ অন্তত, পূর্ব মেদিনীপুরে তো বটেই৷

আরও পড়ুন: দিনমজুরের নামে সীমান্তের গ্রামে মাদকের রমরমা কারবার, মুখে কুলুপ বাসিন্দাদের

Exit mobile version