দ্য হগ: ধর্মীয় নিপীড়ন এবং নৃশংসতার শিকার রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা দিতে হবে মায়ানমারকে৷ বৃহস্পতিবার অং সান সু কি’র দেশকে এমনই নির্দেশ দিল আন্তর্জাতিক আদালত৷
রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে মায়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা চলছে৷ এই ইস্যুতে মায়ানমারকে আর্ন্তজাতিক আদালতে টেনে নিয়ে যায় গাম্বিয়া৷ শুনানি শেষে এদিন ১৭ জন বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন বন্ধ করতে মায়ানমারকে অবিলম্বে তাদের ক্ষমতার সাধ্যের মধ্যে থেকে সব ধরণের ব্যবস্থা নিতে হবে৷
রোহিঙ্গাদের গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে মায়ানমার সেনার বিরুদ্ধে৷ ২০১৭ সালে জঙ্গি দমন অভিযানে নেমে মায়ানমার সেনা নির্বিচারে রোহিঙ্গাদের খুন করে৷ তাদের ঘর বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়৷ রোহিঙ্গা মহিলাদের গণধর্ষণ করা হয়৷ মায়ানমার সেনার অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে সাত লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা দেশ ছেড়ে বাংলাদেশ পালিয়ে আসে৷ অনেকে ভারতেও আশ্রয় নেয়৷
মায়ানমার কখনও রোহিঙ্গা গণহত্যার কথা স্বীকার করেনি৷ কিন্তু রাষ্ট্রসংঘের তদন্ত কমিটির রিপোর্টই বলছে, রাখাইনে মায়ানমার সেনা ইচ্ছাকৃতভাবে রোহিঙ্গা গণহত্যা চালিয়েছিল৷
অথচ মায়ানমার প্রশাসনের গঠিত নিরপেক্ষ কমিশনের রিপোর্টে অন্য কথা বলা হয়৷ সেখানে বলা হয়েছে, জঙ্গি দমন অভিযানে নেমে মায়ানমার সেনা যুদ্ধাপরাধ ঘটিয়েছিল৷ এর প্রমাণ মিলেছে৷ কিন্তু রোহিঙ্গা গণহত্যার কোনও প্রমাণ মেলেনি৷