খাস খবর ডেস্ক: উচ্চ পদস্থ চাকরি করেন স্বামী। সরকারি দফতরের পদস্থ আধিকারিক। সেই ব্যক্তির স্ত্রী টাকার লোভে স্বামীর বিছানায় পাঠায় অন্য মহিলা। যাদের সকলের গড় বয়স ১৮ থেকে ২০ বছর। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই দম্পতিকে।
আরও পড়ুন- মহিলা কয়েদীর সঙ্গে সঙ্গম করে বিপাকে সংশোধনাগারের কর্মী
ঘটনাটি আফ্রিকা মহাদেশের। দক্ষিণ আফ্রিকার পূর্ব প্রান্তের বাসিন্দা ওই দম্পতি। জোহানেসবার্গের এক সরকারি অফিসের পদস্থ কর্তা ওই ব্যক্তি। সস্ত্রীক তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চলতি সপ্তাহের সোমবার তাদের আদালতে তোলা হয়। অবৈধ পাচার, যৌনতা এবং শিশু বিক্রির মতো একাধিক ধারা দেওয়া হয়েছে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন- বাঙালি এবং বাংলা ভাষার অপমান করছেন মমতা, দাবি নাড্ডার
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে ওই মহিলা পড়শি রাষ্ট্র মোজাম্বিক থেকে থেকে মেয়েদের নিয়ে আসতো। কোনও প্রকারের বোইধ কাগজ ছাড়াই নিজেদের দেশে নিয়ে তাদের রাখতো নিজের বাড়িতেই। স্বামী সরকারি আধিকারিক হওয়ার সুবাদে সেই কাজে খুবটা সমস্যা হতো না। মূলত দুঃস্থ পরিবারের মেয়েদের টার্গেট করা হতো। দু’বেলার আহার পেলে অনেকেই অনেক কাজ করতে পারে।
আর সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগাতো ওই মহিলা। খাবার দেওয়ার টোপ দিয়ে নিয়ে আসা মহিলাদের নিজের স্বামীর সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হতে বাধ্য করতো। নিত্যদিন চলতো সঙ্গম। তাও আবার কোনও প্রকার সুরক্ষা ছাড়া। তার কারণ হচ্ছে যে ওই সঙ্গমের কারণে জন্ম নেওয়া শিশুটিকে চড়া দামে বিক্রি করাই ছিল ওই মহিলার মূল লক্ষ্য।
আরও পড়ুন- স্বস্তি দিয়ে একদিনে ভারতে সুস্থ আড়াই লক্ষের বেশি করোনা আক্রান্ত
এই কাজে অনীহা প্রকাশ করলে জুটত চরম অত্যাচার। এমনই জানিয়েছেন নির্যাতনের শিকার হওয়া এক মহিলা। যিনি ওই নরক থেকে কোনও রকমে পালয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন। সেই কারণেই পুলিশের নজরে আসে সমগ্র বিষয়টি। গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৬ বছর বয়সী ওই মহিলাকে। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে ৪৯ বছরের তার স্বামীকেও। যে একজন সরকারি আধিকারিক।