জেনেভা: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস চীনের বাইরেও ছড়িয়ে পড়া অব্যাহত থাকায় বৃহস্পতিবার এক জরুরি বৈঠকের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘বৈশ্বিক জরুরী অবস্থা’ জারি করল। গত এক দশকে পাঁচবার এরকম আন্তর্জাতিক সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লু, ২০১৩ সালে ইবোলা, ২০১৪ সালে পোলিও, ২০১৬ সালে জিকা ভাইরাস এবং ২০১৯ সালে আবারও ইবোলার প্রাদুর্ভাবের কারণে বৈশ্বিক সতর্কতার ঘোষণা করা হয়।
মারণাত্মক করোনাভাইরাস বিভিন্ন দেশে ছড়িয়েছে প্রথমত চিন থেকে আসা ব্যক্তিদের মাধ্যমে। কিন্তু জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও ভিয়েতনামে ৮ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, যারা কখনও চিনে যাননি। মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে শুরু করেছে এই ভাইরাস। চিনে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা একদিনেই ১৭০ থেকে বেড়ে হয়েছে ২১৩ জন। ২ হাজার মানুষের দেহে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। শুধুমাত্র চিনেই আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৭০০ জনে দাঁড়িয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে চিনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন।
যেসব দেশে রোগ নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসা ব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে দুর্বল, সেসব দেশে মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ শুরু হলে পরিস্থিতি কী হবে- মূল সেই ভাবনা থেকেই বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। স্থানীয় সময় ৩০ জানুয়ারি রাতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস বলেছেন, “চীনে যা ঘটছে, সেটাই এ সতর্কতা জারির মূল কারণ নয়। অন্য দেশে যা এখন ঘটছে, মূলত সে কারণেই আমরা সতর্কতা জারি করেছি।”