খাস ডেস্ক: আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হাজার হাজার বন্দর শ্রমিক নানান আর্থিক দাবিদাওয়া জানিয়ে জোরদার আন্দোলনে সামিল। এর জেরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি সঙ্কটে পড়েছে। এছাড়া জলপথে কৃষিপণ্য-সহ অন্যান্য পণ্যের রফতানি ও আমদানি ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছে। এদিকে ধর্মঘট তুলে নেওয়ার কোনও সম্ভাবনা এখনই নেই।
ধর্মঘটী বন্দর শ্রমিকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা প্রয়োজনে নিতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সূত্রের খবর, যদিও এখনই হোয়াইট হাউস সেপথ মাড়াচ্ছে না। এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বণিক সংস্থা ইউএস চেম্বার অব কমার্সের তরফে দাবি জানানো হয়েছে, ধর্মঘট রুখতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যেন কড়া ব্যবস্থা নেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিবিদদের মধ্যে অনেকেই মনে করছেন, বন্দর শ্রমিকদের ধর্মঘটের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে। সূত্রের খবর, হাজার হাজার বন্দর শ্রমিক মার্কিন মুলুকের বিভিন্ন বন্দরগুলোতে আন্দোলনে সামিল। গত ৫০ বছর সময়সীমায় এই প্রথম এধরনের ব্যাপক আন্দোলনে সামিল মার্কিন মুলুকের বন্দর শ্রমিকরা।
সূত্রের খবর, বন্দর শ্রমিকদের ধর্মঘটে রফতানি ও আমদানি ব্যবসার এক-তৃতীয়াংশ ক্ষতিগ্রস্ত। মঙ্গলবার ইন্টারন্যাশনাল লংশোরমেনস’স অ্যাসোসিয়েশন বা আইএলএ জানিয়েছে, মার্কিন মুলুকের মোট ১৪টি বন্দরের শ্রমিকরা ধর্মঘটে সামিল হয়ে সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ করে রেখেছেন।
ধর্মঘটীদের তরফে যে দাবিদাওয়াগুলো তোলা হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম প্রধান দাবি মজুরিবৃদ্ধি করতে হবে। সূত্রের খবর, অভিজ্ঞতার নিরিখে এর আগে শ্রমিকদের ঘণ্টা হিসেবে মজুরি ছিল ২০ ডলার থেকে ৩৯ ডলার পর্যন্ত। ধর্মঘটে সামিল শ্রমিকরা ঘণ্টা পিছু কাজের সময়ের মজুরিবৃদ্ধি-সহ একাধিক দাবিদাওয়াতে অনড়। মার্কিন মুলুকে আসন্ন প্রেসি়ডেন্ট নির্বাচনের আগে বন্দর শ্রমিকদের ধর্মঘট মোকাবিলায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কী কৌশল নেবেন, তাই এখন দেখার।