খাস ডেস্ক: কোটা বিরোধী আন্দোলন দমন করতে ব্যাপক দমনপীড়ন চালিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এর জেরে প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়ে সামরিক হেলিকপ্টারে চেপে ভারতে পালিয়ে এসেছেন শেখ হাসিনা। বর্তমানে ভারতেই রয়েছেন তিনি। তবে শেখ হাসিনাকে ভারত পাকাপাকিভাবে আশ্রয় দেবে না, এটা স্পষ্ট। এই পরিস্থিতিতে হাসিনার গন্তব্য হবে কোন দেশ, তা নিয়ে এখন চলছে জোর জল্পনা।
আমেরিকা কিংবা ইউরোপের কোনও দেশে শেখ হাসিনা আশ্রয় পাবেন কিনা গত কয়েকদিন ধরে উঠছে এই প্রশ্ন। শেষপর্যন্ত কী হবে, তাই দেখার। বর্তমানে এব্যাপারে উঠে আসছে ওয়াকিবহাল মহলের নানা অভিমত। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের গবেষক টম কিন বলেছেন, পশ্চিমের দেশগুলোতে শেখ হাসিনার আশ্রয় পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। একই অভিমত ওয়াশিংটনের আরেকটি গবেষণা সংস্থার। উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইন্সটিটিউটের অধিকর্তা মাইকেল কুগেলম্যান বলেছেন, পশ্চিমের কোনও দেশে বাংলাদেশের পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয় পাওয়ার আশা অত্যন্ত কম।
আমেরিকা কিংবা ইউরোপের দেশগুলো যদি শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় না দেয়, সেক্ষেত্রে এমন কোনও দেশ শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিতে পারে, যে দেশ মানবাধিকার নিয়ে তেমন মাথা ঘামায় না। সূত্রের খবর, মধ্যপ্রাচ্যের কোনও দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পেতে পারেন হাসিনা। মুক্তযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের জন্যে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের বিরোধিতায় বাংলাদেশে ছাত্র ও নাগরিক আন্দোলন যে তীব্র আকার ধারণ করেছিল, তা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে দমন-পীড়ন চালিয়ে বন্ধ করা হয়েছে, তা মানবাধিকারের পরিপন্থী বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো। হাসিনা যদি ক্ষমতাসীন থাকতেন, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে আরও বেশি রক্তপাত হতে পারত বলেও মনে করছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের তরফে দাবি করা হয়েছে, হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য না হলে, সেক্ষেত্রে আরও বেশি মানুষের মৃত্যু হতে পারতো।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের তরফে এও জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করতে হাসিনা যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, তাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ হাসিনা সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাবই প্রকাশ করছে।