খাস খবর ডেস্ক: ইউক্রেন সীমান্ত রুশ ফৌজের বাড়বাড়ন্ত মোটেই ভাল চোখে দেখছে না পশ্চিমা শক্তিজোট NATO। এর জবাব দিতে সেখানে পাঠানো হতে পারে বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান এবং যুদ্ধজাহাজ। সব মিলিয়ে, রয়টার্স সূত্রে খবর, ইউক্রেন সীমান্ত নিজেদের শক্তি বাড়াতে চাইছে সামরিক শক্তিজোটটি।
আরও পড়ুন: সাংবাদিককে প্রকাশ্য রাস্তায় গুলি করে হত্যা পাকিস্তানে, নিন্দায় সরব মানবাধিকার সংস্থা
দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপে সেনা মোতায়েনও এই শক্তিবৃদ্ধির আওতায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এ যাবৎ লিথুয়ানিয়া, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া আর পোল্যান্ডে NATO -র প্রায় ৪ হাজার বহুজাতিক সেনা মোতায়েন করা রয়েছে। তাদের পাশাপাশি আছে ট্যাঙ্ক, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, গোয়েন্দা এবং নজরদারি ইউনিটও। মার্কিন আধিকারিকদের দাবী, NATO -র পূর্ব অঞ্চলে নির্দিষ্ট ইউনিট সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তটি নিয়েছে পেন্টাগন। এবং ভবিষ্যতে ৫ হাজার সেনা পর্যন্ত মোতায়েন করা হতে পারে।
এদিকে NATO -র সদস্য দেশগুলির পক্ষ থেকে এই সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ। একটি বিবৃতিতে তাঁর কথায়, “নিরাপত্তার অবনতির বিরুদ্ধে আমরা সর্বদা রুখে দাঁড়াব। আমাদের সমন্বিত প্রতিরক্ষা জোরদার করা আবশ্যক।” NATO জানাচ্ছে, ফ্রান্স, স্পেন এবং নেদারল্যান্ডস পূর্ব ইউরোপে সেনাদল, যুদ্ধবিমান আর যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন প্রসঙ্গে রাশিয়াকে চাপ দিতে সাড়ে ৮ হাজার মার্কিন সেনাকে তৈরী থাকার নির্দেশ
অন্যদিকে ট্রান্স-আটলান্টিক ঐক্যে জোর দেওয়ার উদ্দেশ্যে সোমবার নিজ বাসভবন থেকে ইউরোপের বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে পাক্কা ৮০ মিনিট ভিডিও কনফারেন্স করেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন। আলোচনার বিষয় ছিল, ইউক্রেন সংকট। জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, ব্রিটেন ও পোল্যান্ডের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক থেকে বেশ কিছু ইতিবাচক সিদ্ধান্ত উঠে এসেছে। এমনটাই জানিয়েছেন বাইডেন।