খাস ডেস্ক: রাশিয়া বনাম ইউক্রেনের যুদ্ধের জেরে গোটা ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে সঙ্কটজনক পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস খেকে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি দাবি করেছেন, ভারত যুদ্ধবিরোধী। যুদ্ধের মাধ্যমে কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি ২০২৩ সাল থেকে উত্তপ্ত। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইজরায়েল বনাম গাজার যে সংঘাত চলেছে তা ভূ-রাজনৈতিক জটিলতা ও সঙ্কট বাড়িয়েছে। এই সংঘাত আরও তীব্র হতে পারে বলে মনে করছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়সঙ্কর। এস জয়শঙ্করের কথায়, গোটা ঘটনা সম্পর্কেই ভারত উদ্বিগ্ন।
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে। ওয়াশিংটনে এক অনুষ্ঠানে জয়শঙ্কর বলেছেন, ইজরায়েলে হামাস যে আক্রমণ চালিয়েছে তা পুরোপুরিভাবে সন্ত্রাসী হামলা। ইজরায়েলের এর জবাব দেওয়ার দরকার ছিল। তবে ভারত আন্তর্জাতিক মানবিক আইনে বিশ্বাসী। কোনও দেশ অন্য কোনও দেশকে যদি জবাব দেয়, সেক্ষেত্রে তা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনানুসারে বিচার্য।
জয়শঙ্কর আরও বলেছেন, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইজরায়ে্লের উপর যে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে তাও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনে বিচার্য হওয়া উচিত। হাউতিরা যে সংঘাতে লিপ্ত তাও এই আইনানুসারে বিচার্য। সর্বাগ্রে দেখা দরকার যাতে সাধারণ নাগরিকরা ক্ষতিগ্রস্ত না হন। ইজরায়েল এবং ইরানের ভিতর যা ঘটছে সেও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনে বিচার করা দরকার। ইজরায়েলের উপর গত অক্টোবরে হামাস যে হামলা চালিয়েছে এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও তার বিরোধিতা করেছেন। মোদী গোড়াতেই ওই হামলার তীব্র নিন্দা করেছিলেন। সেপথের শরিক হলেন জয়শঙ্করও।