খাস ডেস্ক: পৃথিবীর আবহাওয়া পরিবর্তনের কুপ্রভাব পড়ছে মানুষের জীবনে। বিশ্বজুড়ে একই পরিস্থিতি। এদিকে হু-হু করে বাড়ছে পৃথিবীর জনসংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে নিস্তারের পথ থাকলেও সচেতনতার অভাবে এবং একশ্রেণির মানুষের লোভে প্রকৃতি নির্বিচারে নষ্ট হচ্ছে। আর মাসুল দিতে হচ্ছে গোটা মানবজাতিকে।
এসম্পর্কে নানা সময়ে সমীক্ষা চলেছে। প্রতিটি সমীক্ষার ফলই উদ্বেগজনক। নতুন করে একটি আন্তর্জাতিক সমী্ক্ষা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে যানবাহনের হর্ন, বায়ূদূষণের জেরে বিশ্বজুড়ে বন্ধ্যাত্ব বাড়ছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে প্রতি ৬জনের মধ্যে একজনই বন্ধ্যাত্বের শিকার। সারা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই শহরাঞ্চলের বাসিন্দা।
নারী-পুরুষের বন্ধ্যাত্ব সম্পর্কে নতুন এই স্টাডি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ডেনমার্ক। এই স্টাডিতে সাফ জানানো হয়েছে, যানবাহনের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক হারে যে শব্দ ও বায়ুদূষণ ছডি়য়েছে তাতে বন্ধ্যাত্বের শিকার অসংখ্য নারী-পুরুষ। এর কারণ ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে এর জেরে মানবশরীরে দেখা দিচ্ছে নানা ধরনের শারীরবৃত্তীয় অস্বাভাবিকতা। কেবল বন্ধ্যাত্বই নয়, একইসঙ্গে বাড়ছে ক্যান্সারের সম্ভাবনা এবং হৃদরোগ।
সূত্রের খবর, ওই স্টাডি রিপোর্ট তৈরির সময়ে যাঁদের কাছ থেকে সমীক্ষকরা তথ্য সংগ্রহ করেছেন এঁদের কর্মজীবন, শিক্ষা এবং পরিবার সংক্রান্ত তথ্যাদি। যে সমস্ত নারী-পুরুষ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে তাঁদের বয়স ৩০ বছর থেকে ৪৫ বছরের ভিতর। এঁদের একাংশ বিবাহিত আর বাকিরা লিভ টুগেদার করছেন।
স্টাডিতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষা অনুসারে, যানবাহনের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণের ফলে পুরুষের বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি তুলনায় ২৪ গুণ বেশি। এছাড়া হরমোনঘটিত গোলযোগও একই কারণে দেখা দিচ্ছে। এর কুপ্রভাবে ঘুমের ব্যাঘাত থেকে শুরু করে শরীর-মনে নানাবিধ অনভিপ্রেত চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।