খাস ডেস্ক: ভারতের প্রতিবেশী দেশ কমিউনিস্ট পার্টি শাসিত চিনেও বেকার যুবক-যুবতীদের হাল করুণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া শেষ করার পর মিলছে না প্রত্যাশিত চাকরি-বাকরি। ফলে চিনের নাগরিক যুবসমাজের অনেকেই হতাশাগ্রস্ত। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এসম্পর্কে খবরাখবর প্রকাশিত হয়েছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত সমীক্ষা রিপোর্ট অনুসারে, চিনে কর্মসংস্থানের গতি অত্যন্ত মন্থর। এছাড়া চিনের নাগরিকদের মধ্যে আর্থিক বৈষম্য বাড়ছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ‘সাধারণ সম্পদ নীতি’ শীর্ষক নীতি প্রণয়ন করে আর্থিক বৈষম্য দূরীকরণের উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে সেই উদ্যোগ কতদূর পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়েছে তা নিয়ে চলছে বিতর্ক।
সর্বশেষ সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, চিনের মোটে ২৮.৩ শতাংশ নাগরিক মনে করছেন, কঠোর পরিশ্রম করলে তার ফল মিলবে। এঁদের মধ্যে অধিকাংশ নিম্নবিত্ত পরিবারের সদস্য। এঁদের মাথাপিছু গড় বাৎসরিক রোজগার ৬ হাজার ৯৮৯ ডলার। প্রসঙ্গত, গত ২০০৪, ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে এধরনের যে সমীক্ষা চালানো হয়, তাতে দেখা গিয়েছে, প্রতি ১০জনের ভিতর ৬জনের অভিজ্ঞতা হল – কঠোর পরিশ্রমের সুফল মিলবেই।
শি জিনপিংয়ের জমানায় চিনে অর্থনৈতিক সঙ্কট ক্রমশ জোরদার হচ্ছে। এদিকে ২০২৩ সাল থেকে বেজিং চিনের কর্মসংস্থানের অবস্থা সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করা বন্ধ করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হতাশায় ভোগা চিনের নাগরিকদের ভিতর মোটে ৪৭ শতাংশ আশা করছেন যে, আগামী ৫ বছরের মধ্যে ভবিষ্যতে আশার আলো দেথবেন ওঁরা। অথচ একই ধরনের সমীক্ষায় ২০০৯ সাল এবং ২০১৪ সালে যথাক্রমে ৭২.৪ শতাংশ এবং ৭৬.৫ শতাংশ চিনের নাগরিক মনে করতেন, পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই। পরিশ্রম করলে ভবিষ্যতে তার সুফল পাবেন ওঁরা।