কলকাতা: দেশ থেকে পলাতক শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করে ফেলেছেন। এদিকে আগুন জ্বলছে বাংলাদেশে(bangladesh)। সোমবার থেকেই বাংলাদেশ শিরোনামে। বিকাল থেকেই দুই দেশের বিমান পরিষেবাও বিঘ্নিত। এহেন পরিস্থিতিতে মধ্যরাতে কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি। তাদের থেকে জানা গিয়েছে, তারা সকলেই কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসেছেন।
বাংলাদেশের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সেখান থেকে ভারতবর্ষে ফিরে আসছেন এদেশের নাগরিকরা। কর্মসূত্রে কেউ ওই দেশে থাকতেন। ওই দেশের পরিস্থিতির কারণে এদেশে পরিবার নিয়ে ফিরে এসেছেন। এদেশে কর্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিকরাও আসছেন।
দেশে ফিরে তার অভিজ্ঞতার কথা দীপমাল্য পালিত জানালেন, আতঙ্ক প্রথম দিকে ছিল না। বিক্ষোভ শুরু হয়েছে পয়লা জুলাই থেকে। ১৫ জুলাই নাগাদ তা বড় আকার নেয়। ২০ জুলাই রাত থেকে কার্ফিউ চালু হয়। নেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে আবার চালু হয়। ওখানকার নাগরিকরা বলেন সরকার গুলি চালিয়েছে। বেশ কয়েকজন মারা গিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, এরপরে আবার একটা বিক্ষোভ চালু হয়। এরপর এক দফার বিক্ষোভ শুরু হয় সরকারের পদত্যাগ, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলে। এরপরেই বিমান পরিষেবা বন্ধ করা হয়। এখনও ভারতে আসার বিমান পরিষেবা বন্ধ আছে। এই মর্মে তিনি জানান, “আমি আসলাম আমেরিকার ফ্লাইটে। ভালো লাগছে দেশে ফিরে। আমার সাথে পরিবার ছিল, ছোট বাচ্ছা ছিল তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পেরে ভালো লাগছে। ভোর সকালে বিমান ধরতে বেরিয়েছি রাস্তাঘাট ফাঁকা ছিল। সেনা নামানো হয়েছে রাস্তায়”।
তিনি আরও জানিয়েছেন, “বাংলাদেশের পরিস্থিতি খারাপ দেখে দেশে ফিরে এসেছি চাকরির জন্য ঢাকায় গেছিলাম, আজ ওই দেশের পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক। যতক্ষণ না নতুন সরকার গঠন হবে ততক্ষণ কিছু বলা যাবে না। গতকাল এর পরিস্থিতি দেখে একটু আতঙ্কে ছিলাম। কি হবে বুঝতে পারছিলাম না পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইস্তফা দিয়ে চলে গিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে একটু সময় লাগবে মনে হচ্ছে”।