খাস ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়েছেন। আপাতত ভারতে রয়েছেন হাসিনা এবং তাঁর বোন শেখ রেহানা। এরপর হাসিনা(Sekh Hasina) ব্রিটেনে রাজনৈতিকভাবে আশ্রয় পাবেন কিনা তা নিয়ে চলছে জল্পনা। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, বিষয়টি দ্রুত পরিষ্কার হবে।
এই পরিস্থিতিতে মায়ের দেশ ছাড়া প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানালেন হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী হিসেবে বসবাস করেন সজীব ওয়াজেদ। একসময়ে হাসিনা সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন সজীব।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সজীব ওয়াজেদ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ত্যাগ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানিয়েছেন। এনিয়ে এখন চলছে জোর চর্চা।
সজীব বলেছেন, মা (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশ ছাড়তে চাননি। তিনি বাংলাদেশেই থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দেশে থাকা বর্তমান পরিস্থিতিতে মায়ের পক্ষে মোটেও নিরাপদ নয়। এজন্যে আমরাই ওঁকে দেশ ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই। সেই অনুযায়ী মা দেশ ছেড়েছেন।
সজীব ওয়াজেদ আরও বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশে যে অশান্ত পরিস্থিতি তাতে দেশে থাকলে মা আক্রান্ত হতে পারতেন। প্রসঙ্গত, সোমবার হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা দেশ ছাড়ার পরে গণভবনে ঢুকে পড়ে ব্যাপক অরাজকতা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, এই ঘটনায় প্ররোচনা দিয়েছে বাংলাদেশের মৌলবাদী শক্তি।
এদিন সজীদ ওয়াজেদ ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া ইন্টারভিউতে আরও জানিয়েছেন, মায়ের সঙ্গে মঙ্গলবার সকালে কথাবার্তা বলেছেন তিনি। বর্তমানে বাংলাদেশে যে ব্যাপক নৈরাজ্য চলছে, তাতে মা হতাশা ব্যক্ত করেছেন। কারণ মায়ের ইচ্ছা ছিল ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন ঘটানোর। সেই স্বপ্ন ধাক্কা খেল। কেননা গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করেছেন মা।
সজীব ওয়াজেদ আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে বাংলাদেশে যে ব্যাপক নৈরাজ্য চলছে, তাতে বেছে বেছে লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীদের। আমরা আশা করছি, আগামীদিনে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে। তবে এখন বাংলাদেশের যে অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি তাতে নির্বাচন কতদূর পর্যন্ত স্বচ্ছ হবে, সেনিয়ে যথেষ্ট সংশয়ের কারণ রয়েছে।
সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ইতিমধ্যে জেলে থাকা বিরোধী দলনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলোতে ফলাও করে প্রচারিত হচ্ছে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তাঁর বাসভবন গণভবনে অবাধ নৈরাজ্যের দৃশ্য। হামলা চলেছে থানাগুলোতেও। এই পরিস্থিতি সেনাবাহিনী কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে সেও এখন দেখার।