খাস ডেস্ক: বাংলাদেশে রাজনৈতিক অশান্তির পরে এবার চলছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়। বন্যায় দুর্গতের সংখ্যা ৪০ লক্ষাধিক। সূত্রের খবর, বাংলাদেশজুড়ে বন্যার ফলে ইতিমধ্যে ১৩জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ৮ লক্ষ মানুষ গৃহহীন। এখবর জানিয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা এবং ত্রাণ দফতরের সচিব কামরুল হাসান।
সূত্রের খবর, বাংলাদেশের ১২টি জেলা বন্যার জলে ভাসছে। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে সেসম্পর্কে কোনও নিশ্চয়তাও নেই। যে সমস্ত জেলার বাসিন্দারা বন্যাদুর্গত সেই জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে কুমিল্লা, নোয়াখালি, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেটের মতো জেলা।
সূত্রের খবর, বাংলাদেশ সেনা, নৌ-সেনা, উপকূলরক্ষী বাহিনী ত্রাণ বিলির কাজে নেমে পড়েছে। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ত্রাণ বিলির কাজে নেমে পড়েছেন। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোও ত্রাণ বিলির কাজে নেমে পড়েছে।
সূত্রের খবর, ত্রাণ হিসেবে বিলি করা হচ্ছে শুকনো খাবার, পানীয় জল। বাংলাদেশে বর্তমানে যে ভয়াবহ বন্যা চলছে যা অভূতপূর্ব। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক এম সালেহিন বলেছেন, বাংলাদেশের পূর্বদিকে ফেণী জেলায় যে ভয়াবহ বন্যার ঘটনা ঘটছে তা অভূতপূর্ব।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় অন্তর্বর্তী সরকার বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনুস বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতের সহযোগিতা চেয়ে ইতিমধ্যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন।
আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, বাংলাদেশের বন্যাদুর্গত ১৩টি জেলায় প্রবল বৃষ্টিপাত চলছে। আগামী দুই থেকে তিনদিন চলবে প্রবল বৃষ্টিপাত। এদিকে বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা বনাম ভারতের মধ্যে চলছে রাজনীতি।
বাংলাদেশের বন্যার জন্যে ভারত দায়ী। ভারতের বাঁধ থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়ার ফলে বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই অভিযোগ ঢাকার। তবে ভারতের বিদেশমন্ত্রক এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, অভিযোগ সত্য নয়। বাংলাদেশে বন্যার কারণ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত।