খাস ডেস্ক: বাংলাদেশে চলছে অন্তর্বর্তী সরকার। অন্তর্বর্তী সরকার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃ্ত্বাধীন। ছাত্র ও নাগরিক আন্দোলনের তীব্রতার জেরে প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশছাড়া।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন কবে হবে নাকি নির্বাচন স্থগিত রাখা হবে তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা। নির্বাচনের নির্দিষ্টভাবে কোনও দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা করা হয়নি। গত ৮ অগাস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে বৃহস্পতিবার মুহাম্মদ ইউনুস ঢাকায় শীর্ষ কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তিনি বলেছেন, শীঘ্রই বাংলাদেশে নির্বাচন হবে। নির্বাচন যেন স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হয় তা দেখা হবে। তবে তার আগে কিছু জরুরি সংস্কারের কাজ করা হবে।মুহাম্মদ ইউনুস খোলসা করেছেন কোন কোন ক্ষেত্রে সংস্কারের কাজ হবে। যেমন, বিচারবিভাগ থেকে শুরু করে প্রশাসন, নিরাপত্তা বাহিনী এবং সংবাদমাধ্যমের সংস্কারের কাজ হবে। মুহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কূটনীতিকদের পাশাপাশি বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর কূটনীতিকদের সঙ্গেও। সূত্রের খবর, ঢাকাতে ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা।
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিজনদের জন্যে ৩০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থার প্রতিবাদে যে নাগরিক আন্দোলন চলে তাতে গোটা বাংলাদেশ তুমুল অশান্ত হয়েছে। হিংসার বলি হয়েছে ৪৫০জনের বেশি মানুষ। এরপর হাসিনা বোন শেখ রেহানাকে গিয়ে দেশ ছাড়ার পরে ক্ষমতায় এসেছেন ইউনুস।
বাংলাদেশে শান্তি ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার শপথ নিয়েছেন ইউনুস। তবে ছাত্র ও নাগরিক আন্দোলনের আবহে দুষ্কৃতীদের বাড়াবাড়িতে আক্রান্ত হয়েছেন সেদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা। এখন দেখার সংখ্যালঘুদের স্বার্থরক্ষায় ইউনুস কী করেন