Apple -এর চাকরি ছেড়ে বছরে ৬ কোটি টাকা আয় হাতছাড়া এই ইঞ্জিনিয়ারের

0
127
Apple engineer who quit due to work from office rule was earning at least Rs 6 crore per annum

খাস ডেস্ক: অ্যাপলের (Apple) মতো একটি কোম্পানিতে কাজ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। বছরে কমপক্ষে এক মিলিয়ন ডলারেরও বেশি বেতন পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে আর ঘর থেকে কাজ নয়, এবার অ্যাপল কর্মীদের অফিসে আসতে হবে। এদিকে অ্যাপলের একজন সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার ইয়ান গুডফেলো যিনি তার হাই-প্রোফাইল ভাল বেতনের চাকরি ছেড়ে দিতে চাইছেন। তিনি অ্যাপলে কত আয় করতেন তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। অ্যাপলের চাকরি না ছাড়লে গুডফেলো এখন প্রতি বছর ৬ থেকে ৮ কোটি টাকার বেতন পেতেন।

গুডফেলো, যিনি অ্যাপলের (Apple) মেশিন লার্নিং এর ডিরেক্টর। তিনি পদত্যাগ করেছিলেন কারণ অ্যাপল চাইছে তিনি ও তার দল অফিসে এসে কাজ করুক। অ্যাপল তার কর্মীদের বলেছে কোভিড মহামারীর কারণে কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এখন তারা অন্য সিস্টেমে চলে যাচ্ছে, যার জন্য ২৩ মে থেকে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন করে কর্মীদের অফিসে আসতে হবে। গুডফেলো এই নিয়মে একেবারেই খুশি নন। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন যে একটি নমনীয় কাজের সিস্টেম – বাড়ি থেকে কাজ করা। তাই তিনি সংস্থা ছেড়ে দেন এবং তার দলকে একটি ইমেলে তিনি কেন এই পদক্ষেপ নিচ্ছেন তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন।

- Advertisement -

 

আরও পড়ুন: প্রতিরক্ষার গোপন নথি ফাঁসের অভিযোগ, গ্রেফতার ভারতীয় বায়ুসেনার এক অফিসার

তখন থেকেই গুডফেলোর বেতন নিয়ে আলোচনা চলছে। যদিও অ্যাপল (Apple) গুডফেলোকে কত টাকা দিচ্ছে তা স্পষ্ট নয়, মোটামুটি নিশ্চিত যে তার বেতন অত্যন্ত বেশি। গুডফেলোর মতো ইঞ্জিনিয়ার যারা এআই এবং মেশিন লার্নিংয়ে বিশেষজ্ঞ, তাদের চাহিদা বেশি। তিনি এর আগে Google এবং OpenAI-এর মতো সংস্থায় কাজ করেছে। জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে গুডফেলো প্রায় এক বছর গবেষণা বিজ্ঞানী হিসেবে টেসলার মেশিন লার্নিং কোম্পানি, ওপেন এআই -এর সঙ্গে কাজ করার সময় বার্ষিক কমপক্ষে ৮ লক্ষ ডলার আয় করেছিলেন। যদিও তিনি শুধুমাত্র মার্চ মাসে কোম্পানিতে যোগ দিয়েছিল, তাই তার বেতনের বার্ষিক প্যাকেজ অত্যন্ত বেশি ছিল। ভারতীয় টাকায় কমপক্ষে ৬ কোটি টাকা। ওপেন এআই থেকে গুডফেলো গুগলে গিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: রায়নার ঘটনার পুনরাবৃত্তি, জাদেজাকেও কী আর হলুদ জার্সিতে দেখা যাবে না

গুডফেলো তার কর্মীদের কাছে তার ইমেলে বলেছিলেন যে তিনি “তার দলের জন্য আরও নমনীয়তা” পছন্দ করেন। তার দলের কাছে একটি নোটে তিনি বলেছেন “আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আরও নমনীয়তা আমার দলের জন্য সেরা নীতি হত।” অ্যাপলের নতুন কাজের নীতিতে কর্মচারীদের ১১ এপ্রিলের মধ্যে প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে এক দিন, ২ মে থেকে সপ্তাহে কমপক্ষে দুই দিন এবং ২৩ মে এর মধ্যে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন অফিসে গিয়ে কাজ করতে হবে। অ্যাপল তার কর্মীদের অফিসে ফিরে আসতে বলেছে। তবে কিছু কর্মচারী অ্যাপলে এই নতুন পদক্ষেপে খুশি নন।