বেজিং: মারণ করোনা ভাইরাসের কোপে চিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা৷ এই ভাইরাসে আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে গেল৷ একদিনে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২৪২ জনের৷ এর মধ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাড়াল ১৩৫৫ জন৷ সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা৷ চিনে সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়েছে ৬০ হাজারে৷
হুবেই প্রদেশে নতুন করে ১৫ হাজার রোগীর দেহে এই ভাইরাস মিলেছে৷ হুবেইয়ের হেলথ কমিশনের রিপোর্ট বলছে, তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবার থেকে পরীক্ষার পর করোনো ভাইরাসে মৃত্যু নিশ্চিত হলে তবেই তা মৃতের তালিকায় তোলা হবে৷ এতো দিন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু এই রোগকে মহামারি বলে চিহ্নিত করেনি৷ কিন্তু মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে৷ তাই ইতিমধ্যেই মহামারি বলে চিহ্নিত করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷
চিন থেকে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে বিশ্বের ২৪টি দেশে৷ ভারত ছাড়াও নেপাল, শ্রীলঙ্কা, জাপান, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, হংকং, ভিয়েতনাম, ব্রিটেন, আমেরিকা, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়ায় নোভেল করোনাভাইরাস আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে৷
হংকং প্রশাসন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মারা যাওয়ার খবর স্বীকার করেছে৷ এটাই হংকংয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা৷ সংক্রমণ যাতে আর না ছড়ায় তার জন্য হংকংয়ের হাসপাতাল কর্মীরা চিনের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধের দাবি জানিয়েছে৷ চিনের অধিকাংশ শহর কার্যত তালা বন্ধ৷ সংক্রমণের আতঙ্কে লক্ষ লক্ষ মানুষ গৃহবন্দি৷
করোনা এমন একটি ভাইরাস যা সাধারণ ফ্লু বা ঠাণ্ডা লাগার মতোই প্রথমে আক্রমণ করে ফুসফুসে৷ মধ্য প্রাচ্য থেকে আসা এই ভাইরাস আক্রান্তদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেয়৷ আস্তে আস্তে তা মারাত্মক আকার ধারণ করে৷ যার থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে৷ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা হু বলছে, কিছু সাধারণ নিয়ম মানলেই এড়ানো যাবে এই সংক্রমণ৷ রোগীর কাছ থেকে আসার পর ভালো করে হাত ধুতে হবে৷ হাঁচি ও কাশি দেওয়ার সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখুন৷ রোগীর থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকা৷