নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: আর জি কর হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা রাজ্য৷ ১৪ অগস্ট অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসের মধ্যরাতে ‘মেয়েদের রাত দখলে’ পথে নেমেছিলেন মহিলারা৷ এদিন রাতে একদল দুষ্কৃতি হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়৷ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর৷
আর জি করের নির্যাতিতার মৃত্যুর প্রতিবাদে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবির পাশাপাশি মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিতের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত প্রান্তে মহিলারা বুধবার রাতে রাস্তায় নামেন৷ সেই মতোই আরজিকরের সামনেও প্রতিবাদে নামেন আমজনতারা। সেই সময় জোর করে ব্যারিকেড ভেঙে, হাসপাতালে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতিরা। ভাঙচুর চালায় হাসপাতালের ভিতরে, এমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ে।
বুধবার রাতে আর জি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় তৃণমূল জড়িত আছে বলে দাবি করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর৷ এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবিলম্বে পদত্যাগ করার দাবি তুলেছেন শান্তনু ঠাকুর। পাশাপাশি তিনি আরও দাবি করেন, যারা এই তান্ডব লীলা চালিয়েছে সেটা তৃণমূল ঘটিয়েছে৷ আর জি করের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করলেন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কির্তনীয়াও। মূলত আন্দোলনের দিক ঘোরানোর জন্যই তৃণমূল এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি অশোক কির্তনীয়ার।
প্রসঙ্গত, রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ আন্দোলনের মাঝেই হঠাৎ অশান্তি শুরু হয়। আন্দোলনকারীর বেশে দুষ্কৃতিরা ব্যারিকেড ভেঙে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে পড়ে। এমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ে ঢুকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ভাঙচুর করা হয়। এমনকী, সেমিনার হলেও হামলা চালানোর চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। এরপরই সকালে জানা যায়, হামলায় জড়িত সন্দেহভাজন নয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।