মদ বিক্রির প্রতিবাদে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

0
26

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদহ: ফের প্রকাশ্যে এল এরাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব৷ মদ বিক্রির প্রতিবাদ করায় তৃণমূলের অঞ্চল যুব সহ-সভাপতির বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল দলীয় নেতার বিরুদ্ধে৷ শুধু তাই নয় রাস্তায় ফেলে যুব অঞ্চল সহ-সভাপতির বাবাকে লোহার রোড দিয়ে ও স্ত্রীকে মারধর-শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল অঞ্চলের উপপ্রধান সনেকা মণ্ডল ও তার দলবলের বিরুদ্ধে।

এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর ২ নম্বর অঞ্চলের গোপালপুর এলাকায়। আক্রান্ত পরিবার উপপ্রধান ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে ইংরেজ বাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। যদিও উপপ্রধান জানিয়েছেন তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

- Advertisement -

যারা নিজেকে তৃণমূল বলছে তারা দলের কেউ নয় বলে দাবি করেছেন উপপ্রধান। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর ২ নম্বর অঞ্চলের গোপালপুর এলাকার অঞ্চল যুব সহ-সভাপতি সম্রাট দত্ত তাঁর বাবা শংকর দত্তকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে যদুপুর ২ নম্বর অঞ্চলের উপপ্রধান সনেকা মণ্ডলের বিরুদ্ধে।

অঞ্চল যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি সম্রাট দত্ত জানান, উপপ্রধান সনেকা মণ্ডল দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চপ-সিঙ্গারা বিক্রির আড়ালে মদ বিক্রি করত৷ তার পাশাপাশি সমাজ বিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিল। মদ বিক্রির প্রতিবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয় তাঁর পরিবারকে।

এই বিষয়ে উপপ্রধান সনেকা মণ্ডলের বক্তব্য, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগটি ভিত্তিহীন। যারা নিজেদেরকে তৃণমূল বলছে তারা তৃণমূল দলের কেউ নয়। তারাই এলাকায় সমাজ বিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। মারধরের ঘটনায় সে জড়িত নয়। এই বিষয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, ‘‘ঘটনাটি শুনতে পেয়েছি৷ দল বিষয়টি দেখছে। যদি কেউ অন্যায় করে থাকে দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’’

এই বিষয়ে পাল্টা বিজেপির দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরী বলেন, ‘‘তৃণমূলের আজকে চাকরি, ঘর বিক্রি সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসছে। মদ বিক্রিতেও ভাগাভাগি সঠিকভাবে না হওয়ায় নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দলে জড়িয়ে পড়েছে। আমাদের দাবি যারা বেআইনিভাবে মদ বিক্রি করছে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নিক।’’